শরণখোলায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

|

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের শরণখোলার জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী নিয়োগে প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন স্কুল পরিচালনা কমিটির ৬জন সদস্য।

শরণখোলা প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে স্কুলটির পরিচালনা কমিটির ৬জন সদস্য মো. হাবিব শিকদার, মো. রুহুল আমিন শেখ, ফোরকান তালুকদার, ফিরোজা বেগম, স্বপন কুমার মিস্ত্রি ও আতিকুর রহমান এমন অভিযোগ করেছেন।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা লিখিত বক্তব্যে জানান, উপজেলার জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম যোগদান করার পরে তফসিল গোপন রেখে পছন্দের লোক দিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন করেন। এরপর থেকে তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভা না করে সদস্যদের বাড়ি গিয়ে অথবা তার বাসায় ডেকে রেজুলেশনে স্বাক্ষর নিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে অফিস সহকারী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে গত বছরের ৭ জুলাই স্কুল পরিচালনা কমিটির ৮জন সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেন।

পরবর্তীতে বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী পুনরায় স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মো. রুহুল আমিন শেখ, মো. ফোরকান তালুকদার, মো. হেলাল উদ্দিন বাচ্চু, মো. বাচ্চু বয়াতী ও ফিরোজা বেগমকে সদস্য হিসাবে কো-আপড করা হয়। কিন্তু এ কমিটি গঠন করেও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে সভা না করে কমিটির সদস্যদের তার বাসায় ডেকে স্বাক্ষর নিয়ে ইচ্ছেমত রেজুলেশন তৈরি করেন।

এভাবে গত ১৭ নভেম্বরের ২০২০ তারিখে প্রধান শিক্ষক কাউকে না জানিয়ে তার পছন্দে প্রার্থী মো. মিরাজ হাওলাদারকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্কুল পরিচালনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি স্বপন কুমার মিস্ত্রির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

প্রধান শিক্ষকের এ ধরণের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সদস্যদের উপস্থিতিতে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভা করা হয়েছে। এছাড়া অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগই নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, অফিস সহকারী নিয়োগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির উভয়েরই নিজস্ব স্বার্থ জড়িত থাকায় বিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি এখন আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply