শেখ হাসিনা হাইটেক পার্কের জায়গা থেকে ৪’শ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ

|

স্টাফ রিপোর্টার:

মাদারীপুরের শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি অ্যান্ড হাইটেক পার্কের নির্ধারিত স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বৃহস্পতিবার বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের অভিযানে আড়াই শতাধিক অবৈধ ঘরবাড়ি শত শত গাছ পালা উচ্ছেদ করা হয়। আরও দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছে বসতকারীরা। আরও শত শত অবৈধ ঘরবাড়ি স্থাপনা সরিয়ে নিতে একদিনের সুযোগ দিয়েছে প্রশাসন।

এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে সভা করে এসকল স্থাপনা উচ্ছেদে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে জানা যায়, পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে শিবচরের কুতুবপুরের কেশবপুরে আইসিটি মন্ত্রণালয় শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি অ্যান্ড হাইটেক পার্ক নির্মাণে ৭০.৩৪ একর জায়গা নির্ধারণ করে। এরপর থেকেই গত বেশ কিছু দিন ধরে নির্ধারিত এই স্থানে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দালালচক্র ওই এলাকায় অবৈধ ঘর বাড়ি বাগান খামার স্থাপন শুরু করে।

সম্প্রতি আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমি হুকুম দখলের প্রস্তাব করে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় অবৈধ ঘর বাড়ি বাগান খামার স্থাপন আরও বেড়ে যায়। দালালচক্র পদ্মা সেতুর বিভিন্ন প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ পাওয়া ঘরবাড়ি এ প্রকল্পে আবারও স্থাপন করে অপতৎপরতা শুরু করে।

এ পরিস্থিতিতে বারবারের সংসদ সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে ১৮ জানুয়ারি ওই এলাকায় সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে সভার আয়োজন করে ৭দিনের সময় বেঁধে দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, আরডিসি মো. মাহমুদুল হক, ওসি মো. মিরাজ
হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) আমির হোসেনের নেতৃত্বে একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনীর সদস্য প্রকল্প এলাকায় অভিযান শুরু করে।

আরডিসি মো. মাহমুদুল হক বলেন, প্রথম দিনের অভিযানে আড়াই শতাধিক ঘর বাড়ি স্থাপনা শত শত গাছ উচ্ছেদ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ প্রকল্পটি এখানে হওয়ার খবরে দালালচক্র সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাটের জন্য শত শত স্থাপনা বাগান স্থাপন করে। এ স্থাপনাগুলো দিয়ে দালালচক্র পদ্মা সেতুর বিভিন্ন প্রকল্প থেকে টাকাও উত্তোলন করেছিল। আমরা এ স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে সাতদিন সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। ১০ দিনের মাথায় এসে মাননীয় চিফ হুইপ স্যার ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনাগুলো অপসারণ শুরু করেছি। অনেকে নিজে থেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply