‘বঙ্গভ্যাক্স’ এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য বিএমআরসি’তে আবেদন

|

বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নৈতিক অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ- বিএমআরসিতে আবেদন করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে সিআরও লিমিটেডের মাধ্যমে বিএমআরসিতে ‘ইথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স এপ্লিকেশন’ জমা দেয় প্রতিষ্ঠানটি৷ গ্লোব বলছে, অনুমোদন পেলে শীঘ্রই স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে প্রয়োগ করা হবে দেশীয় বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা।

তবে কবে নাগাদ সাধারণ মানুষের দ্বারে পৌঁছাবে টিকা সেটি এখনই না জানালেও সফলভাবে সকল প্রক্রিয়া শেষ করাতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। প্রাণীদেহে প্রথম ধাপের সফলতার সুসংবাদ জানানোর প্রায় ছয় মাস পর বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে ‘বঙ্গভ্যাক্স’।

রোববার সকালে সিআরও লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলাদেশী গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা বঙ্গভ্যাক্সের ইথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স এপ্লিকেশন নিয়ে বিএমআরসিতে আসে গ্লোব বায়োটেক দল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্লোব বায়োটেকের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, সিইও ড. কাকন নাগ, প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদসহ রিসার্চ টিমের অন্যান্য সদস্যরা।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএমআরসিতে জমা দেয়া হয় আবেদন। এরপর গণমাধ্যমে কথা বলেন বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল টিমের প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর ডা. মামুন আল মাহতাব। তিনি বলেন, অনুমোদনের পর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ট্রায়ালে যেতে পারবে বঙ্গভ্যাক্স। সমন্বিত দু’টি ধাপে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রয়োগ করা হবে ভ্যাক্সিন। তবে এর আগে প্রত্যেকের জন্য করা হবে স্বাস্থ্যবিমা।

এদিকে সিআরও লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ঢাকার ভেতরে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চলবে টিকার পরীক্ষা মূলক প্রয়োগ।

মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পুরো প্রক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের তত্বাবধানে সম্পন্ন হবে বলে জানায় গ্লোব বায়োটেকের কর্ণধার কাকন নাগ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply