করোনাকালে সংসার চালাতে বাসচালক গৃহবধূ

|

করোনাকালে সংসার চালাতে বাসচালক গৃহবধূ

করোনাকালে সংসার চালাতে কতো কিছু করতে হচ্ছে মানুষকে। ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে মেয়েরা নেমে গেছেন উপার্জনের পথে। এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের এক নারী বাসের স্টিয়ারিং হাতে নেমে গেছেন রাস্তায়। খবর- জি নিউজ।

লকডাউনে স্বামী বেকার হয়ে পড়লে সংসারের হাল ধরেন স্ত্রী পূজা দেবী। একসময় ট্যাক্সি চালিয়েছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে যাত্রীবাহী বাসের চালক হলেন এ গৃহবধূ।

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ার বাসিন্দা পূজা ৩ সন্তানের মা। স্বামী কাজ করতেন হায়দরাবাদে এক নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে। সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় লকডাউনে। ফলে পরিবারের আয়ের রাস্তাও বন্ধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে জম্মু-কাঠুয়া রুটে যাত্রীবাহী বাসের স্টিয়ারিং ধরেছেন পূজা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে পূজা বলেন, লকডাউন আমাদের সংসারের শান্তি-ঘুম সব কেড়ে নিয়েছিল। যেদিন প্রথম বাস চালিয়ে ৬০০ রুপি আয় করলাম সেই দিনটা আমার কাছে একেবারে অন্যরকম।

তিনি বলেন, লকডাউনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। যদি ডাক্তার-নার্সরা এইসময়ে কাজ করতে পারেন তাহলে আমি কেন পারব না। আমার ছোট ছেলেকে ঘরে রেখে আসতে পারি না। তাই ওকে পাশের সিটে বসিয়ে রেখেই বাস চালাই। মহামারির এই সময়ে এ রকম একটা কাজ পাওয়াই মুশকিল ছিল। কিন্তু একজন বাসচালক পালিয়ে যাওয়ায় বাসের চাবি হাতে পেয়ে যাই।

সম্প্রতি পূজা দেবীর ছবি শেয়ার করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও উধমপুরের সাংসদ জিতেন্দ্র সিং। কাঠুয়ার বাসিন্দা হয়েও এখনও পর্যন্ত কাশ্মীর যাওয়া হয়ে ওঠেনি পূজার। সরকার যদি আমার এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে তাহলে অনুরোধ, আমাকে যেন তারা একবার কাশ্মীর যাওয়ার সুযোগ করে দেন। আমি এতদিনেও পাটনি টপের ওদিকে যাইনি। আসলে সব সময় শুনেছি কাশ্মীর এই পৃথিবীতে একটা স্বর্গ। কিন্তু বছরে আমরা কখনোই ১৫ হাজার রুপির বেশি জমাতে পারিনি। কীভাবে কাশ্মীর যাব!


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply