ইতিহাস গড়া সেই ম্যাচে মাশরাফীও ব্যাট হাতে রান করেছিলো ৪৮

|

বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে তখনও শিশু। জিম্বাবুয়ের বোলিং লাইনআপের সামনে সময় সময়ই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়তো টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। এ কথা বলাই যায়, তখন জিম্বাবুয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে সব দলের জন্যই শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবেই মাঠে নামতো। তাদের বিপক্ষে পুচকে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতবে এটা তারাও যেমন ভাবতে পারতো না, ঠিক তেমনি টাইগার ভক্তরাও ভাবতো না। তখন জিম্বাবুয়ের সাথে ম্যাচ জেতা তো দূরের কথা তাদের সাথে লড়াই করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য থাকতো।

তারপরও, টেস্ট ক্রিকেটে এই জিম্বাবুয়ের সাথে জিতেই জয়ের শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশের। ২০০৫ সালের আজকের এই দিনে সিরিজের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২২৬ রানে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ।

সেসময় টাইগারদের নেতা ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তিনি করেছিলেন ৯৪ রান। অল্পের জন্য মিস করেছিলেন সেঞ্চুরি। তার সাথে তাল মিলিয়ে ওপেনার নাফিস ইকবাল করেছিলেন ৫৬, রাজিন সালেহের ৮৯ ,খালেদ মাসুদের ব্যাট থেকে এসেছিলো ৪৯ রান। মোহাম্মাদ রফিক ব্যাট হাতে রান করেছিলেন ৬৯ । মাশরাফীর ৪৮, জাবেদ ওমর বেলিনের সংগ্রহ ছিলো ৩৩ রান।

আর আশরাফুল করেছিলেন ১৯ রান, সোজা কথা দলীয় পারফরমেন্সেই প্রথম ইনিংসে ৪৮৮ রান তুলতে পেরেছিলো টাইগাররা। এই রানের জবাব দিতে গিয়ে ৩১২ রানে অল আউট হয়েছিলো জিম্বাবুয়ে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। দুই ইনিংস মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের সামনে টাইগাররা টার্গেট ছুঁড়ে দেয় ৩৮০ রানের। আর জয়ের জন্য এই রান তাড়া করতে নেমেই এনামুল হক জুনিয়রের ঘূর্ণিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। মাত্র ১৫৪ রানেই অলআউট হয়ে টাইগারদের কাছে প্রথম টেস্ট হারের স্বাদ গ্রহণ করতে হয় সফরকারীদের।

বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৪৫ রান দিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছিলেন এনামুল হক জুনিয়র। অবশ্য ম্যাচ সেরাও হয়েছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে মোহাম্মাদ রফিক নিয়েছিলেন ৫ উইকেট আর এনামুল নিয়েছিলেন তিনটি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply