অবৈধ মাদক ও ওয়াকিটকির দুই মামলায় ইরফান সেলিমের জামিন

|

মাদকসেবন ও অবৈধ ওয়াকিটকির দুই মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার (৪ জানুয়ারি) আদালতে রাজধানীর চকবাজার থানার মাদক মামলা থেকে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ। ইরফান সেলিমের বদলে তার দেহরক্ষী মো. জাহিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২৭ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে ২টি করে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করে র‌্যাব। এসব মামলায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

মামলার বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে সেখান থেকে বিভিন্ন অনুমোদনহীন জিনিস জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ২টি অবৈধ বিদেশি অস্ত্র, একটি এয়ারগান ও বেশ কিছু বিদেশি মদ ও ইয়াবা রয়েছে। এছাড়াও ৩৮টি ওয়াকিটকি সেট ও ৩টি ভিএইচএফ (ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি) ওয়াকিটকি বেজ স্টেশন জব্দ করা হয়।

অভিযানে কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে মাদক সেবন ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৮ মাসের সাজা দেয়। এছাড়াও ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদকে বেআইনি ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানের উপর হামলার পর তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করে র‌্যাব। হামলার ঘটনায় ওয়াসিফ আহমদ খান বাদি হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। পরে ইরফানের বাসা থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে চারটি মামলা দায়ের করে র‍্যাব। চারটি মামলাই তদন্ত করেন চকবাজার থানার পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply