সোনারগাঁওয়ে কনকা ইলেকট্রনিকস কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে

|

১২টি ইউনিটের ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে।
দাহ্য পদার্থ মজুদের স্থান থেকে আগুনের সূত্রপাত।
ভবনটিতে টিভি, ফ্রিজ, ব্যাটারিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি করা হতো।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কনকা ইলেকট্রনিক্স কারখানায় আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সকাল এগারোটার দিকে ফ্যাক্টরির পূর্ব উত্তর কোনার স্টোর রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মূহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে স্টিলস্টাকচার নির্মিত পুরো কারখানায়। আগুনে ভবনের দ্বিতীয় তলায় রাখা বিপুল সংখ্যক ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।

খবর পেয়ে ঢাকা নারায়ণগঞ্জসহ প্রায় ১২টি ইউনিট প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কারখানা থেকে কালো ধোয়া বের হচ্ছে। আগুন লাগার কারখানার একজন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, কারখানার স্টোররুমে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ, কেমিকেল, প্লাস্টিক, প্লাস্টিকের সাদা দানা, এরিন্সে কটনসহ বিভিন্ন সামগ্রী থাকার কারণে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, ‘কারখানায় ২০০-২৫০ জন শ্রমিক কাজ করতো। সকালে কাজে যোগদান করার পর সাড়ে ১০টার দিকে নাস্তা খাওয়ার বিরতির সময়ে শ্রমিকরা কারখানার বাহিরে থাকাকালীন সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান,‘কনকা ইলেকট্রনিক্সের চারতলার সমান উঁচু দ্বিতল ভবনটিতে এগারোটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে সাড়ে ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন আনে। তবে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বিপুল পরিমাণ মালামালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপ-সহকারী পরিচালক দেবশিষ বর্মণ জানান, এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসে পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটিও আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করবে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply