একসময়ের জনগণের আওয়ামী লীগ এখন লুটপাটের দল: ফখরুল

|

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

যে আওয়ামী লীগ জনগণের দল ছিলো সে দল এখন কর্তৃত্ববাদী ও লুটপাটের দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ব্রিটিশদের কৌশল ডিভাইডেন্ট রুল দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে, যার ফলে রাজনৈতিক দলগুলো সৃষ্টিশীল ভূমিকা পালন করতে পারেনি। কর্তৃত্ববাদী শাসনে রাজনৈতিকরা পেছনে পড়ে যায়, সেখানে ক্ষমতা ধরে রাখতে আমলাদের তুষ্ট করতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের। যে আওয়ামী লীগ জনগণের দল ছিলো, স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছিলো সে দল এখন কর্তৃত্ববাদী ও লুটপাটের দলে পরিণত হয়েছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি পৌরসভা নির্বাচন নয়, ফলাফল বর্জন করেছে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মার্কা দিয়ে নির্বাচন করার কারণে গোটা জাতিকে বিভক্ত করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে এমন কথা তাদের বলতেই হবে, কারণ- আওয়ামী লীগ জনগণের উপর নির্যাতন নিপীড়ন করে জোর করে ক্ষমতা ধরে রয়েছে।

ফখরুল আরও বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ক্ষমতার পরিবর্তন হয় না। কিন্তু সেখানেও সরকার শক্তি প্রয়োগ করে ফলাফল তাদের পক্ষে নিয়ে গেছে। এই সরকারের আমলেও এই নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় কখনোই কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারবে না। পূর্ব নির্ধারিত ও ইভিএম কারচুপি কারণে ফলাফল তাদের পক্ষে যাচ্ছে। তাই ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে ব্যালট পদ্ধতিতে নির্বাচন
চায় বিএনপি।

ফখরুল আরও বলেন, করোনাভাইরাস বুঝিয়েছে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সবচেয়ে ভঙ্গুর। সরকারিভাবে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ কম। স্বাস্থ্যখাতে যে পরিমাণ টাকা ব্যয় হয়েছে তার ৮০ ভাগ টাকা চুরি হয়েছে। করোনা টিকা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও প্লানমাফিক চুরি করছে সরকার।

তিনি বলেন, ২০২০ সাল শুধু বিএনপি নয়, সারাবিশ্বের মানবজাতির জন্য খারাপ বছর। কারণ, সরকারের যে কর্তৃত্ববাদের যে চেহারা তা উন্মোচিত হয়েছে এবং ধর্ষণ, দুর্নীতি ও হরণ এ বছর বেশি হয়েছে। তবে জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা থাকবে ২০২১ সালে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply