সেদিন স্টেডিয়ামে বেঁধেছিল খণ্ডযুদ্ধ; মৃত্যু হয়েছিল ২ জনের, আহত ২০০

|

ছবি: আর্কাইভ থেকে নেয়া

শিরোনাম দেখে হয়তো অনেকে ভাবতে পারেন কবেকার কথা বলা হচ্ছে। কোথাকার ঘটনা এটি? আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে এমন ঘটনা ঘটেছিলো ঢাকা স্টেডিয়ামে। কিন্তু সে প্রসঙ্গ এখন কেনো? কারণ আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চির শত্রু ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডান। তবে সেদিনের সেই উন্মাদনা যে আজ থাকবে না- সেটি না বললেও চলছে। সাধারণ মানুষ এখন ফুটবল নিয়ে এতটা আগ্রহী নয়। ক্রিকেট ম্যাচের অপেক্ষায় নিজেদের উন্মাদনাকে লুকিয়ে রাখেন তারা।

কী ঘটেছিলো ১৯৮০ সালের সেই ম্যাচে? ঢাকা স্টেডিয়াম দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিলো গোলশূন্যভাবেই। দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দলের ফরোয়ার্ডদের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে মুখরিত তখনকার ঢাকা স্টেডিয়াম। দুই দলের সমর্থকদের মাঝে চলছিল চাপা উত্তেজনা। তবে মাঠে যখন দুই দলের ফুটবারদের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয় তখন আর গ্যালারিতে শান্ত থাকেনি দর্শকরা। খেলোয়াড়দের অনুসরণ করে যুদ্ধে মাতেন তারাও। এরই ফল হিসেবে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা স্টেডিয়াম ও আশেপাশের এলাকা। গাড়িতে আগুন দেয়া থেকে শুরু করে ,পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও গুলি ছোঁড়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছিলো সেই ম্যাচে।

মৃত্যু হয়েছিল দু’জন ফুটবল পাগলের, গ্রেফতার হয়েছিলেন ৩৭ জন ফুটবল সমর্থক। আর ২০০ জনের মত দর্শক আহত হয়ে পড়েছিলেন ঘরে। এসময় ফুটবল নিয়ে এমন ঘটনা কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারে না। এর একটি মাত্র কারণ, দেশে নেই ভালো মানের ফুটবলার, জাতীয় দলের ক্রমাগত বাজে পারফরমেন্স। সেইসাথে ক্লাবগুলোর অপেশাদার আচরণ। এসব কিছু মিলিয়েই ফুটবল প্রায় মরার পথেই হাঁটছে।

সেসব কথা নিয়ে কথা বাড়িয়ে আসলেই লাভ নেই। আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে ঢাকা আবাহনী ও ঢাকা মোহামেডান। একথায় বলা যায় ডার্বি।

বসুন্ধরা কিংস, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ভিড়ে ঢাকা আবাহনী নিজেদের টিকেয়ে রাখতে পারলেও মোহামেডান হারিয়েছে তার শক্তি। হয়তো সেই কারণেই ম্যাচটি এতটা জমবে না। সেদিনের সেই উত্তেজনা আজ মৃতপ্রায় অতীত। তবুও চিরশত্রুর বিপক্ষে ম্যাচে খর্বশক্তির মোহামেডান জ্বলে উঠলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply