মার্কিন কূটনীতিকদের ওপর ‘মাইক্রোওয়েভ হামলা’র অভিযোগ অস্বীকার কিউবার

|

মার্কিন কূটনীতিক ও দূতাবাসকর্মীদের ওপর ‘মাইক্রোওয়েভ হামলা’র অভিযোগ অস্বীকার করলো কিউবা। মঙ্গলবার, দেশটির একাডেমি অব সায়েন্স জানায়- দূতাবাসে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বা শক্তিশালী তরঙ্গ ব্যবহারের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। গেল সপ্তাহে মার্কিন বিজ্ঞানীদের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাভানায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তরঙ্গ ব্যবহারে অসুস্থ হন দূতাবাসকর্মীরা।

২০১৬ সালের শেষ দিকে, কিউবায় কর্মরত বেশ কয়েকজন মার্কিন কূটনীতিক, একই ধরনের শারীরিক সমস্যার কথা জানান। মাথাব্যথা, কানব্যথাসহ নানা উপসর্গে রহস্যজনক এ সমস্যার নাম দেয়া হয়- হাভানা সিনড্রোম। যার কারণ হিসেবে ছড়ায় নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।

কূটনীতিকদের অসুস্থতার বিষয়টি বিশ্লেষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সকে দায়িত্ব দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। ১৯ সদস্যের সে কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে ছোড়া ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এনার্জি’র প্রভাবেই রহস্যজনক অসুস্থতা। কারা এ মাইক্রোওয়েভ হামলা চালিয়েছে তা স্পষ্ট না করলেও প্রতিবেদন বলছে, সোভিয়েত ইউনিয়নে গবেষণা হয়েছিলো বিষয়টি নিয়ে।

মঙ্গলবার, সংবাদ সম্মেলন করে মাইক্রোওয়েভ হামলার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে কিউবার ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স।

কিউবার বিজ্ঞান একাডেমির প্রেসিডেন্ট লুই ভেলাজকুয়েজ পেরেজ বলেন, রোগটির কারণ সম্পর্কে যে উপসংহার টানা হলো, সে বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে ‘কিউবান একাডেমি অব সায়েন্সের’। মার্কিন একাডেমির রিপোর্টে- উপসর্গ দেখে রোগের কারণ হিসেবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এটা বড়জোর একটা অনুমান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, প্রমাণিত কিছু নয়।

ভুক্তভোগীরা হাভানার বাসায় তীক্ষ্ণ শব্দ শোনার অভিযোগ করেছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে মাথাব্যথা, কানব্যথা যন্ত্রণা হলেও দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয় কারো কারো। হাভানার দাবি, সমন্বিত গবেষণায় আসতে পারে প্রকৃত তথ্য।

লুই ভেলাজকুয়েজ পেরেজ বলেন, হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিজ্ঞানে বিশ্বাসী মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার যৌথ গবেষণায় বেরিয়ে আসতে পারে- হাভানায় বসবাস করা দূতাবাসকর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অসুস্থতার সঠিক কারণ। সেটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভিত্তিতেই হতে হবে।

২০১৬ থেকে ১৮ পর্যন্ত, মোট ২৬ মার্কিন কূটনীতিক ও সিআইএ কর্মকর্তা হাভানা সিনড্রোমে আক্রান্ত হন। চীনের গুয়াংজুর মার্কিন কনস্যুলেটেও একই উপসর্গ দেয়া দেয় কয়েকজনের। ভুক্তভোগী কয়েকজন এতোটাই অসুস্থ হন যে, অবসরে পাঠাতে হয় তাদের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply