ম্যাশের ৫ উইকেট কী বার্তা দেয়?

|

৪ ওভারে ৩৫ রান। ইকোনোমি রেট ৮.৭৫। যখন জানবেন ২১০ রান তাড়া করতে নামা দলের বিপক্ষে এটি, এই ইকোনোমি রেটকে বেশি মনে হবে না মোটেও। আর যখন এই বোলিং ফিগারের সাথে যুক্ত হবে ৫টি উইকেট তখন সেটিকে ‘দুর্দান্ত’ বললে অত্যুক্তি হয় না মোটেও। সোমবার চট্টগ্রামের বিপক্ষে ‘কোয়ালিফায়ার’ ম্যাচে এমনই দুর্দান্ত মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

ইনজুরি থেকে ফিরে এসে মাঝপথে যুক্ত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। তাকে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল চট্টগ্রাম ছাড়া বাকি সব দলই। সেই চট্টগ্রামের বিপক্ষে আরও একবার প্রমাণ করলেন অভিজ্ঞতার কী মূল্য। খুলনার বড় স্কোরের পেছনে ভালোভাবেই ছুটতে থাকা চট্টগ্রামকে বারবারই ধাক্কা দিয়েছেন ম্যাশ। ব্যাটিং তাণ্ডবের হাইস্কোরিং ম্যাচে কিনা বোলার হয়েই কিনা জিতে নিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

ম্যাচের প্রথম ওভারেই তুলে নেন সৌম্যর উইকেট। চতুর্থ ওভারে বল করতে এসে দারুণ এক ইনসুইংয়ে ভাঙেন ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা লিটন দাসের উইকেট। এরপর মাহমুদুল হাসান জয় ও মোহাম্মদ মিঠুনের জুটিতে ম্যাচে ফেরে চট্টগ্রাম। দ্বাদশ ওভারে বল করতে এসেই আবার জয়কে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি করেন। এরপর ম্যাচের ১৮-তম ওভারে নিজের শেষ ওভারটি করতে আসেন ম্যাশ। সেই ওভারের চতুর্থ বলেই তুলে নেন চট্টগ্রামের আশার প্রতীক হয়ে ক্রিজের থাকা শামসুর রহমান শুভকে। আর শেষ বলে ফেরান মোস্তাফিজকে। বলা চলে, যখনই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা আঘাত হেনেছেন ম্যাশ।

আগের সেই গতি নেই। ফিটনেস নিয়েও আছে প্রশ্ন। রাজনীতি সামলে খেলার মাঠে কতটা মনোযোগ দিতে পারবেন সেটি নিয়েও সংশয় ছিল অনেকের মনে। তবু নাছোড়বান্দা ম্যাশ। খেলাটার সাথে যে আত্মিক বন্ধনে জড়িয়ে আছেন। তাই ২২ গজের টানে সবকিছুকেই থোড়াই কেয়ার করা ম্যাশ আরও একবার দেখালেন ফুরিয়ে যাননি তিনি। বরং অভিজ্ঞতার ডালি মেলে হাইটেম্পার ও হাইস্কোরিং এক ম্যাচে তিনিই ম্যাচসেরা।

ম্যাচ শেষেও কোনো বাড়তি কথা নেই ম্যাশের। জানালেন, চেষ্টা করেছেন ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করতে। সেটি কতটা করতে পেরেছেন তা বলাই বাহুল্য।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply