পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজমের বিরুদ্ধে প্রেম প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন এক তরুণী। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এই সময়ের অন্যতম ইনফর্ম ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার অভিযোগও করেছেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা তরুণীর নাম হামিজা মুখতার। তার অভিযোগ, বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ১০ বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছেন বাবর আজম। এমনকি তাকে অন্তঃসত্ত্বাও করেছেন। এখন তারকা ক্রিকেটার হয়ে যাওয়ায় তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বাবর। শনিবার পাকিস্তানের লাহোরে সংবাদ সম্মেলন করে বাবরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন হামিজা মুখতার।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, যখন সে ক্রিকেটে তেমন কিছুই ছিল না, তখন থেকেই তার সঙ্গে আমার পরিচয়। বাবর দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা। আমরা একই কলোনিতে থাকতাম। বহু সময় আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি। আমার সঙ্গে সে যে প্রতারণা করেছে, তার বিচার আমি চাই। সব সাংবাদিক ভাইবোনের কাছে আমার আবেদন– আপনারা আমার পাশে থাকবেন। আমি যে প্রতারণার শিকার হয়েছি, অন্য কেউ যেন এমন পরিস্থিতির শিকার না হন।
আচমকা বাবর আজমের বিরুদ্ধে এই নারীর অভিযোগে পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন তোলপাড়। সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার। শনিবার সাজ সাদিক নামে পাকিস্তানের এক সাংবাদিক ওই নারীর প্রেস কনফারেন্সের ভিডিও টুইটারে ছেড়ে দেন।
So this lady has made accusations against Babar Azam "he promised to marry me, he got me pregnant, he beat me up, he threatened me and he used me"
Video courtesy 24NewsHD pic.twitter.com/PTkvdM4WW2— Saj Sadiq (@SajSadiqCricket) November 28, 2020
ভিডিওতে ওই তরুণী বলছেন, বাবর আজম বড় তারকা হওয়ার আগে থেকেই আমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। প্রায় ১০ বছর ধরে এই সম্পর্ক চলমান ছিল। বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাবর। এই সময়ের মধ্যে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেছেন তিনি।
বাবর আজমের সঙ্গে তার কীভাবে পরিচয় ঘটলো সে বিষয়ে হামিজা মুখতার বলেন, ‘বাবর আজম ছিল আমার স্কুলের বন্ধু। আমরা একই মহল্লায় বেড়ে উঠেছি। যে কারণে আমাদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১০ সালে বাবর আমার বাড়ি এসে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবটি দুই পরিবারই মেনে নেয়নি। ২০১১ সালে আমরা কোর্টে বিয়ে করবো বলে পালিয়ে যাই। আমাকে বাবর অনেক দিন একটি বাসায় ভাড়া রেখেছিল।’
হামিজা আরও বলেন, ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দেয় বাবর। এর পর তার খ্যাতি ও সুনাম বেড়ে যায়। আমি তখন বারবার তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে জানায়, এখন বিয়ে করার মতো পরিস্থিতি নেই। সে সময় পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলার হাতছানি তার সামনে। এর পরই মত পরিবর্তন করে ফেলে বাবর।
পাক অধিনায়ককে নিয়ে তোলা এমন গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে এখনও কোনো বিবৃতি আসেনি। নিউজিল্যান্ডে অবস্থানরত বাবর আজমও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।
ইউএইচ/
Leave a reply