উত্তরপ্রদেশে হিন্দু নারীরা মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করলেই জেল-জরিমানা!

|

এখন থেকে কোন হিন্দু নারী নিজের ইচ্ছায় ধর্ম পরিবর্তন করতে চাইলে তা তার বিয়ের ২ মাস পূর্বেই জেলা প্রশাসকের দপ্তরে জানাতে হবে। একইসাথে প্রশাসনকে না জানিয়ে বিয়ে করলে সেই নারীর ৪ মাস থেকে ৩ বছরের কারাদণ্ড সেইসাথে কমপক্ষে ১০ হাজার রুপি জরিমানা হতে পারে বলে নতুন আইন করেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ বিজেপি সরকার। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।

সম্প্রতি হিন্দু নারী ও মুসলিম পুরুষের বিবাহবন্ধনের নামে ‘লাভ জিহাদ’ বন্ধে ব্যাপক সরব হয়ে উঠেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো। আর এই তত্বের অগ্রভাগে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের মূখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের নতুন ‘বেআইনি ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ অধ্যাদেশ ২০২০’এ বলা হয়েছে, কোনরকম প্রতারণা করে হিন্দু নারীদের ধর্ম পরিবর্তন করা হলে তার জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়, ধর্মান্তকরণের উদ্দেশে যদি কোনও মহিলাকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করা হয়, তা হলে আইনের চোখে সেই বিবাহ বৈধ নয়।

এছাড়াও জোর করে ধর্মান্তরণের ক্ষেত্রে ১ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সাজা এবং ১৫ হাজার রুপি জরিমানার কথা বলা রয়েছে ওই অধ্যাদেশে। তবে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কের ধর্ম পরিবর্তন করা হলে, সে ক্ষেত্রে ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে। জরিমানা দিতে হতে পারে ২৫ হাজার টাকা।

তবে ‘লাভ জিহাদ’ এর এই তত্বে শুধুমাত্র হিন্দু নারী ও মুসলিম পুরুষের বিবাহকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে কিন্তু মুসলিম নারী ও হিন্দু পুরুষের বিবাহ নিয়ে কোন প্রকার প্রশ্নতোলা হয়নি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply