করোনা ভ্যাকসিন: সাফল্যের পাশাপাশি সংরক্ষণ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

|

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্রথম সুনির্দিষ্ট ওষুধেরও ছাড়পত্র রাশিয়ার

চূড়ান্ত ট্রায়ালে থাকা টিকাগুলোর সাফল্যের খবরের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়ছে সংরক্ষণের উপায় নিয়ে। ফাইজার-মডার্নার টিকার জন্য প্রয়োজনীয় আল্ট্রা-কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা নেই বেশিরভাগ দেশেই। এমনকি উন্নত বিশ্বের অনেক হাসপাতালেই নেই এই সুবিধা। তাই চাহিদা বাড়ছে আল্ট্রা লো টেম্পারেচার রেফ্রিজারেটরের।

করোনা প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ কার্যকর ফাইজারের টিকা সংরক্ষণে প্রয়োজন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। যা অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের চেয়েও বেশি ঠাণ্ডা। ফাইজারের তুলনায় কিছুটা কম হলেও মডার্নার ভ্যাকসিন সংরক্ষণে প্রয়োজন মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এটাও স্বাভাবিক রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রার তুলনায় কম।

দরিদ্র দেশ কিংবা প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতো বটেই, উন্নত দেশেও সহজলভ্য নয় এমন তাপমাত্রার রেফ্রিজারেটর। করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণের তাগিদেই বিভিন্ন দেশে বেড়েছে আলট্রা লো টেম্পারেচার ফ্রিজের চাহিদা। উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে গত একমাসেই দ্বিগুন হয়েছে অর্ডার। দেশে দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রস্তুতি হিসেবে শিপিং কোম্পানিগুলোও সংগ্রহ করছে এ ধরণের ফ্রিজ।

বাইন্ডার ইনোভেশন এন্ড প্রোডাক্টের সিইও পিটার বাইন্ডার বলেন, গত তিন মাসে আমাদের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। প্রচুর অর্ডার পেয়েছি। গতমাসে আগের মাসের তুলনায় দ্বিগুণ অর্ডার পেয়েছি। প্রত্যন্ত এলাকাতেও যাতে ভ্যাকসিন পৌঁছায় সে লক্ষ্যে দামও নাগালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছি।

উৎপদকরা জানিয়েছেন, বাইরের তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি হলেও, ভেতরে মাইনাস ৭০ থেকে ৯০ ডিগ্রি তাপমাত্রা নিশ্চিত করে তাদের রেফ্রিজারেটর। বিদ্যুৎ না থাকলেও ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা পণ্য ভালো রাখবে ইন্সুলেশন সিস্টেম।

বাইন্ডার ইনোভেশন এন্ড প্রোডাক্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট পিটার উইমার বলেন, আমাদের রেফ্রিজারেটর মাইনাস ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঠাণ্ডা হতে পারে। টিকা বণ্টন আর ব্যবহারের আগ পর্যন্ত শতভাগ সংরক্ষণ করা যাবে।

তবে সুখবর হলো, করোনা প্রতিরোধে ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে প্রমাণিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন সংরক্ষণে প্রয়োজন নেই বিশেষ আল্ট্রা লো টেম্পারেচার ফ্রিজ। বরং প্রচলিত তাপমাত্রার ফ্রিজেই ভালো থাকবে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানটির টিকা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply