“প্রবাসীদরে উন্নত সেবা দিতে দূতাবাস অঙ্গীকারবদ্ধ”

|

"প্রবাসীদরে উন্নত সেবা দিতে দূতাবাস অঙ্গীকারবদ্ধ"

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীকে উন্নত ও আধুনিক উপায়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় মিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত) হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোর্শেদ আলম খাস্তগীর এসব বলেন।

এছাড়া দূতাবাসের সকলকে আরো অধিক শ্রম নিয়োজন করে সহজে ও দ্রুত প্রবাসীদের সকল সেবা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন বলেও সাংবাদিক নেতাদের জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো ন্যূনতম ১৮ মাসের মেয়াদ সম্বলিত পাসপোর্ট। এই কর্মসূচিতে অংশগহণ করতে ইচ্ছুক এবং উপযুক্ত বাংলাদেশিদের শেষ সময়ের তাড়াহুড়া করে পাসপোর্টের আবেদন না করে আবেদন ডাকযোগে হাইকমিশনে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকারের নিয়ম কানুনের মধ্যে দূতাবাস ডাকযোগে পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ, অনলাইনে ডেলিভারি স্লিপ নম্বর পাওয়া এবং অনলাইনে পূর্ব এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে পাসপোর্ট গ্রহণের নিয়ম চালু করেছে। যা ইতোমধ্যে সাধারণ বাংলাদেশীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই সেবাকে আরো উন্নত ও দ্রুত করার জন্য অর্থাৎ আবেদনকারীর নিকট পাসপোর্ট পৌঁছে দেবার উদ্যোগ নিয়েছে যা শীঘ্রই অবহিত করা হবে।

তিনি জানান, রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচি সুবিধা যাতে ঠিকমত পায় এজন্য দূতাবাস থেকে ব্যাপক প্রচার করা শুরু হয়েছে পর্যায়ক্রমে সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হবে। যাতে সবাই সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারে এবং প্রতারণা থেকে রক্ষা পায়। এছাড়া না জেনে বুঝে আর্থিক লেনদেন করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

মালয়েশিয়ায় দক্ষ, পরিশ্রমী ও আন্তরিক হিসেবে সুনাম কুড়ানো বাংলাদেশী কর্মী ভাইদের জন্য এই বৈধতার সুবিধা সংক্রান্ত সেবা ও তথ্য প্রদান করবে দূতাবাস। এজন্য নিয়মিত মনিটর করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইভাবে সম্মানিত প্রবাসীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত ফিডব্যাক অনেক কাজে দিবে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অন্যান্য ক্ষেত্রে যে সকল বিজ্ঞ দক্ষ এবং সফল ব্যক্তিত্ব আছেন তারা উপযুক্ত পরামর্শ দিবেন এবং পাশের প্রবাসীর খোজ খবর রাখবেন। রিক্যালিব্রেশন সম্পর্কে হাইকমিশনের গাইডলাইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া কোন মালিক বা কোম্পানি সম্পর্কে অস্পষ্টতা বা সন্দেহ থাকলে এদের সম্পর্কে তথ্যাদি হাইকমিশন থেকে যাচাই করে নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচি নিয়ে সহসাই হাইকমিশন হতে বিস্তারিত গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যে হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে সতর্ক করে নোটিশ দেওয়া কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সংবাদ মিডিয়া খুব গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করেছে। যা প্রবাসীদের সঠিক তথ্য দিয়ে সতর্ক করেছে। এভাবে প্রেস নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারে, এটা একটা দৃষ্টান্ত। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

এছাড়া করোনার সময়ে মালয়েশিয়া সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম কানুন মেনে চলার জন্য সকলকে আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর শ্রম মো. জহিরুল ইসলাম, কাউন্সিলর (কন্স্যুলার) মো. মাসুদ হোসাইন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রুহুল আমিন।

আলোচনায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়া সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রবাসীদের চলমান পরিস্থিতি সকল সমস্যা তুলে ধরেন ডেপুটি হাই কমিশনারের কাছে এবং একটি স্বারক লিপিও প্রদান করা হয় প্রবাসীদের পক্ষে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আহমাদুল করির, সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ ফারুক, জহিরুল ইসলাম হিরণ, মো. জাকির হোসেন, আশরাফুল মামুন, শেখ আরিফুজ্জামান, মোহাম্মদ আলী, মনিরুজ্জামান, মো. আরিফুল ইসলাম, এম এ আবির ও মেহেদী হাসান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply