নবগঠিত বাবুনগরী-কাসেমী কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করলো শফীপন্থীরা

|

আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারীদের বাদ দিয়ে হেফাজতে ইসলামের নবগঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে দলটির একাংশ।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানিয়েছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ যারা সদ্য প্রয়াত আহমদ শফীর অনুসারী বলে হেফাজতে ইসলামে আলোচিত।

এর আগে শনিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলের ব্যাপারে আপত্তি করেছিলেন হেফাজতের কয়েকজন নায়েবে আমীর ও যুগ্মমহাসচিব।

এরআগে, রোববার সকালে আল্লামা শফীর জীবদ্দশায় হেফাজত থেকে পদত্যাগকারী সংগঠনটির সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিনিধি সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাননি সংগঠনটির নায়েবে আমীর মুফতি ওয়াক্কাস, যুগ্মমহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আনাস মাদানীসহ বেশ কয়েকজন নেতা।

রোববার সন্ধ্যায় মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, আমি কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির, ঢাকা মহানগরী কমিটির প্রধান উপদেষ্টা অথচ আমাকে সম্মেলনের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। বর্তমান কমিটি একটি বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে গঠিত হয়েছে। যারা চায় না দেশের আলেমরা এক থাকুক।

বাবুনগরীকে আমির ও নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব কলে গঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী বলেন, তারা একতরফা এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে, সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির ৬৫ জন নেতাকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। আমরা এই সম্মেলনকে অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ মনে করি। এজন্য আমরা কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি।

এর আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুফতি ফয়জুল্লাহ পঠিত লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, হেফাজতের ঐতিহ্য ভূলুণ্ঠিত করে যারা হেফাজতকে একটি চিহ্নিত মহলের ক্রীড়নকে পরিণত করতে চাচ্ছে- অচিরেই জাতির সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হবে ইনশাআল্লাহ। হেফাজতের মূলধারাকে বাদ দিয়ে যারা হেফাজতের একজন পদত্যাগী নেতার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে এই ঈমানি সংগঠনকে দ্বিখণ্ডিত করার ষড়যন্ত্র করছে- এ দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ বিশেষত ওলামায়ে কেরাম তা কোনো দিনই মেনে নেবে না।

মুফতি ফয়জুল্লাহ আরও বলেন, একক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হেফাজতের কাউন্সিলের নামে একতরফাভাবে কাউকে দায়িত্ব দিলে তা এ দেশের ওলামায়ে কেরাম মেনে নেবে না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply