তিস্তার বালুচরে জীবন বাঁচানোর স্বপ্ন বুনছেন লাখো কৃষক

|

রোজেহা বেগম। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ছালাপাকের চরের কৃষাণি। তিস্তার বালুচরে আলু বুনছেন শ্রমিকরা। প্রতিদিন দুপুরে সেই শ্রমিকদের ভাত খাওয়াতে যান রোজেহা। স্বামী নুরুজ্জামান অসুস্থ; তার কাঁধেই এখন সংসারের দায়িত্ব। শুধুমাত্র তিস্তা চরের বালুতে করা এই আবাদই যার ভরসা।

রোজেহার মতো রংপুর অঞ্চলের জীবন রেখা তিস্তার ১৩শ কিলোমিটার অববাহিকার ফুটন্ত বালুকাচরে জীবন বাঁচানোর স্বপ্ন বুনছেন লাখো কৃষক। পানি দিয়ে চরের বালুকে শক্ত করে বুনছেন আলু, পেঁয়াজ, রসুন, কুমড়াসহ হরেক রকমের সবজি। যাকে ‘হিডেন ডায়মন্ড কৃষি’ বলছেন বিশ্লেষকরা।

এসব আবাদে প্রথমে লাঙ্গলের ফলায় দ্বিখন্ডিত করতে হয় বালুর চর। পরে পানি দিয়ে শক্ত করতে হয় বালু। বন্যার আগে অন্তত একবেলা খাবার জোগাতে হাড়ভাঙ্গা খাটুনি কৃষকের।তাই শুধু তিনমাস নয়, বারো মাসই ফসল ফলাতে স্থায়ীভাবে নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণের দাবি কৃষকদের। এখন তাদের অপেক্ষা কবে হবে স্থায়ী বাঁধ, কবে হবে কাঙ্খিত খনন।

এখন চরের কৃষিকে বাঁচাতে পানিচুক্তিসহ তিস্তা সুরক্ষা, ভাঙন ঠেকানো, বন্যা প্রতিরোধে খনন ও জলাধার নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি গবেষকদের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply