কাল সন্ধ্যায় শুরু হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

|

প্রচার-প্রচারণার পালা প্রায় শেষ, শেষ অপেক্ষার পালাও। যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের প্রত্যাশা, ভোটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিদায় করবে জনগণ। আরও ৪ বছর হোয়াইট হাউসে থাকার ব্যাপারে আশাবাদী ট্রাম্পও। তবে ফলাফল নিয়ে আবারও শঙ্কা উস্কে দিয়েছেন তিনি। কিছু রাজ্যে ভোটে কারচুপির অভিযোগও তুলেছেন। বলেছেন, আনুষ্ঠানিক ফলাফলের জন্য অপেক্ষা নয়, ভোটের রাতেই বিজয় ঘোষণা দিতে চান।

প্রচারণার পুরো সময়টাই এবার এমন বৈপরীত্য। করোনা সতর্কতায় প্রায় জনশূণ্য জো বাইডেনের সমাবেশ। আর, ভাইরাসের তোয়াক্কা না করে হাজারো সমর্থক নিয়ে সমাবেশ করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শেষ মুহুর্তের প্রচারণায়ও তার ব্যতিক্রম হলো না।

ছুটির দিনে, ৫ রাজ্যে সমাবেশ করেন রিপাবলিকান প্রার্থী। জানান, পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবেন না। বুথফেরত জরিপ বা প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে থাকলে ভোটের রাতেই ঘোষণা দেবেন বিজয়ের।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, নির্বাচন শেষ হওয়ার পর, দীর্ঘদিন ধরে ব্যালট পেপার গণনার বিষয়টি ভয়াবহ। এটা সুপ্রিম কোর্টের বিরক্তিকর বিধিমালা। কম্পিউটার প্রযুক্তির এ যুগে, কেনো নির্বাচনের রাতেই আমরা ফলাফল পাবো না? গণনায় এগিয়ে থাকলে ভোটের রাতেই, বিজয় ঘোষণার পরিকল্পনা আমার।

ডেমোক্র্যাট সরকার থাকা, রাজ্যগুলোয় কারচুপির অভিযোগও তোলেন প্রেসিডেন্ট।

ডোনাল্ড ট্রাম্প, পেনসিলভানিয়া বা নেভাদা’য় নিরপেক্ষ ফলাফল পাওয়া কঠিন। রাজ্যগুলোয় বিপুল পরিমাণ মেইল-ইন ব্যালট হারানোর খবর পেয়েছি। অথচ, মার্কিনীরা প্রায় একমাস যাবৎ আগাম ভোট দিচ্ছেন। এই কারচুপি চ্যালেঞ্জের জন্য আমরা প্রস্তুত।

বাইডেন সমাবেশ করেন পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়ায়। তার দাবি, ট্রাম্পকে বিদায় করার জন্য মুখিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ।

ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন বলেন, দেশরক্ষায় ব্যর্থ প্রেসিডেন্ট আর দু’দিনের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হবেন। বর্ণবৈষম্যের ইতি টেনে, সবার জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবো আমরা। কারণ, গেলো ৪ বছরে সবখাতে বৈষম্যের শিকার অশ্বেতাঙ্গরা।

কারচুপির অভিযোগ কিংবা ট্রাম্পের হুমকিতে বিভ্রান্ত না হয়ে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহবান জানান বাইডেন।

জো বাইডেন বলেন, ভোটের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনে ভোটারদের বিরত রাখার চেষ্টা করছে রিপাবলিকানরা। পেনসিলভানিয়া নিয়ে ভীত প্রেসিডেন্ট। কারণ- এখানে ভোটাররা ঘুরে দাঁড়ালেই তার বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে।

সবশেষ জরিপ অনুসারে, ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ বেশি সমর্থন নিয়ে এগিয়ে, বাইডেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply