করোনা পরিস্থিতিতে অর্থ সংকট সামাল দিতে বেড়েছে ঋণ নির্ভরতা

|

করোনা মহামারিতে অর্থ সংকট সামাল দিতে ঋণ নির্ভরতা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন সহায়তা পেতে গিয়ে স্পষ্ট হচ্ছে বিদেশি সহযোগীদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, উন্নয়ন কাজে বিদেশি ঋণ ব্যবহারে ব্যাহত হচ্ছে প্রকল্পের কাজ।

প্রতিবছরই বাজেটে বাড়ছে উন্নয়ন ব্যয়ের আকার। আর এই ব্যয় মেটাতে বাড়ছে বিদেশ নির্ভরতা। ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবছরই অভ্যন্তরীণ উৎস নির্ভরতা বাড়াতে চায় সরকার। কিন্তু মেলেনা কাঙ্খিত ফল; তাই শেষ পর্যন্ত ভরসা বিদেশি ঋণ।

বড় অংকের ঘাটতি ধরে প্রণয়ন করা হয়েছে এবারের বাজেট। যেখানে এডিপি’র প্রকল্প সহায়তায় বিদেশি ঋণ নেবার লক্ষ্য ধরা হয়েছে, প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা। আর এডিপি বহির্ভূত প্রকল্প ঋণ লক্ষ্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। আর ১৭ হাজার কোটি টাকার নেয়া হবে বিশেষ উন্নয়ন সহায়তা বা ঋণ। কিন্তু বিদেশি ঋণ নেবার ক্ষেত্রে বাড়ছে জটিলতা।

করোনা সংকটের মধ্যে দাতাদের অর্থে বাস্তবায়ন হবে- এমন প্রকল্প দ্রুত একনেক বৈঠকে তোলার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে প্রকল্প যাচাই-বাছাই। সেক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা প্রয়োজন। বিদেশি ঋণ সহায়তায় নেবার শুরুতেই সংকট তৈরী হয়। অন্যদিকে, অর্থব্যবহারের ক্ষেত্রেও নানান শর্তে দেখাদেয়, দীর্ঘসূত্রিতা।

করোনার মধ্যে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে অন্তত ১০টি বিদেশ নির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply