সরকারি কর্মকর্তাকে মারলেন ইউপি চেয়ারম্যান

|

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফলে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির হাতে মার খেলেন সরকারি এক কর্মকর্তা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একই উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তার বাড়ি সংলগ্ন কনকদিয়া বাজারে যান। এ সময় কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের সাথে তার দেখা হলে কুশল বিনিময় করেন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় আনছার উদ্দিন প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করেন।

তবে নির্ভরযোগ্য স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি ওই ইউনিয়নে সার আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের সাথে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরেই মূলত মারধরের ঘটনা।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি বিষয়টি জানার পর ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।

চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বলেন, সার আটকের ঘটনার বিষয়ে আমি কৃষি কর্মকর্তাকে ফোন দেই। তিনি আমার সাথে অশোভন আচরণ করেন। এ সময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনছার উদ্দিনকে দেখতে পেয়ে আমি বিষয়টি জানাই। তিনি আমাকে চুপ থাকতে বলেন। এক পর্যায়ে তার সাথে আমার উচ্চবাচ্য হয়েছে। কিন্তু তাকে মারধরের ঘটনা সত্য নয়।

বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে শুক্রবার সকালে বাউফল থানার এক এসআইকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply