নরসিংদীতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

|

জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাদিম সরকার।

স্টাফ রিপোর্টার:

নরসিংদীর শিবপুরের জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাদিম সরকারসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন এক গরু খামার ব্যবসায়ী।

গত ৪ অক্টোবর শিবপুর উপজেলার মৈশারটেক গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে গরু খামার ব্যবসায়ী মো. উজ্জামান রবিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। নরসিংদীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রকিবুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে ৭ অক্টোবর ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম সরকারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলো- জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাদিম সরকার (৩৭) ও তার ভাই শাহিন সরকার (৪৫), জয়নগর পশ্চিম পাড়া গ্রামের আয়নব আলীর ছেলে বাদশা মিয়া (৪৫), রমি মিয়ার ছেলে মোবারক (৩৫), শাহাজ উদ্দিনের ছেলে সোহেল মিয়া (৩৫) ও দড়িপুরা গ্রামের রাজু মিয়ার ছেলে লোকমান হোসেন (৪০)।

বাদীপক্ষের আইনজীবী বদরুল আলম জানান, শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধনাইয়া গ্রামে ৯৬ শতাংশ জমির উপর একটি টিন শেডের গরুর খামার নির্মাণ করে গরু মোটাতাজাকরণের ব্যবসা শুরু করেন ব্যবসায়ী মো. উজ্জামান রবিন। খামারটি নির্মাণের পর থেকেই জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাদিম সরকার ও তার ৫ সহযোগী পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।

দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ২ অক্টোবর রাত আনুমানিক দশটার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম সরকারসহ ছয়জন দা, ছুরি, কুড়াল ও পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খামারে প্রবেশ করে। এসময় খামার মালিক রবিনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে রবিনকে এলোপাতাড়ি মারধর ও তার গলায় গামছা পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় খামারের কেয়ারটেকার রুকু মিয়া খামারি রবিনকে উদ্ধার করে। পরে তারা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে আগুন লাগিয়ে খামারটি পুড়িয়ে দেয়াসহ খামার ব্যবসায়ী রবিন ও খামারের কেয়ারটেকারকে হত্যার হুমকি দেয় এবং চলে যাওয়ার সময় খামার ভাঙচুর ও দুটি গরু লুট করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম সরকারের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী গাউস মো. বদরুল আলম সরকার বলেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম সরকারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।

শিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply