আমির খানের ডিভোর্সই মেয়ের অবসাদের জন্য দায়ী: কঙ্গনা

|

আমির খানের ডিভোর্সই মেয়ের অবসাদের জন্য দায়ী: কঙ্গনা

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বলিউডে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। মাঝে অবশ্য অনেকটা আড়ালেই ছিল। হালে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসকে সামনে রেখে এ নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন তারকারা।

তালিকায় আছেন আমির খানের মেয়ে ইরা খানও। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট দিয়ে জানান, চার বছর ধরে অবসাদে ভুগছেন। চিকিৎসকের কাছে গেছেনও। এখন তুলনামূলক ভালো আছেন।

এ নিয়ে তাকে কটাক্ষ করেন কঙ্গনা রনৌত। ইরার অবসাদের জন্য বাবা-মা’র বিবাহ বিচ্ছেদকে দায়ী করেন তিনি।

ইরা বলেন, আমি অবসাদগ্রস্ত। চার বছর ধরে এর মধ্যে রয়েছি। চিকিৎসকের কাছে গেছি। পরীক্ষায় দেখা গেছে আমি ক্লিনিক্যালি অবসাদগ্রস্ত। এখন অনেক ভালো আছি। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমি কিছু করতে চাইতাম। কিন্তু জানতাম না, কী করা উচিত।

এরপর ইরা জানান, অনুরাগীদের একটি সফরের সাক্ষী করতে চান, তার নিজের সফর। যার মধ্যে দিয়ে তিনি ও অনুরাগীরা মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি আরও ভালো করে বুঝতে পারবেন।

ইরার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অনেকে। টুইটারে তার প্রশংসার ঝড় বয়েছে। গত বছর পরিচালক হিসেবে প্রথম নাটক তৈরি করেছিলেন তিনি। অনেকে সেই ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলে মন্তব্য করেছেন, আগামী দিনে তারা ইরা পরিচালিত ছবিও দেখতে চান।

এটা নতুন বিষয় নয় যে, বলিউড সংক্রান্ত প্রতিটি বিষয়েই কঙ্গনার কিছু না কিছু বক্তব্য আছে। সেই হিসেবে ইরার ভিডিও বার্তা মন্তব্য করতেই হয়!

কঙ্গনা টুইটারে লেখেন, ১৬ বছর বয়সে আমাকে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়। অ্যাসিডে পোড়া দিদির দায়িত্ব একা হাতে সামলাই। মিডিয়ার আক্রমণের মোকাবিলা করি। অবসাদের অনেক কারণ হতে পারে। কিন্তু ভাঙা পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য বিষয়টা সব সময়ই চাপের। এই জন্য সনাতনী পরিবার ব্যবস্থা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কঙ্গনার কথায় স্পষ্ট, আমির ও তার প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তর বিবাহবিচ্ছেদের প্রতি কটাক্ষ করেছেন। মেয়ের অবসাদের জন্য এ বিষয়কে দায়ী করেছেন। এর আগেও মিস্টার পারফেকশনিস্টের পরিবার ও ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করেন অভিনেত্রী।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply