আজারবাইজানকে যুদ্ধে সামরিক সরঞ্জাম সহায়তার জন্য ইসরায়েল ও তুরস্কের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ তুলেছে আর্মেনিয়া। দেশটির অভিযোগ, আর্মেনিয়ায় হামলার জন্য তুরস্ক ও ইসরায়েল থেকে ড্রোন সরবরাহ করা হচ্ছে। খবর-স্পুটনিকের।
রোববার আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আর্টসরুন হোভহাননিসইয়ান বলেছেন, মানবিক সহায়তার আড়ালে তুরস্ক ও ইসরায়েল থেকে আজারবাইজানকে হামলার জন্য ড্রোন সরবরাহ করা হচ্ছে।
একইদিন ইয়েরেভান ও অস্বীকৃত নাগোরনো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই অঞ্চলে যুদ্ধে বাকুকে ইসরায়েল ও তুরস্ক সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। তবে আজারবাইজান বলছে, তেলআবিবের সঙ্গে বাকুর ভালো সম্পর্ক নষ্ট করতে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।
এদিকে, আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অংশীদার হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন নাগোরনো-কারাবাখের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট অ্যারাইক হারুতিইয়ান। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন প্রজাতন্ত্র আর্মেনিয়ানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ‘গণহত্যা’র জন্য ইসরায়েল আংশিক দায়ী।
ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে এই নেতা বলেন, অবশ্যই তারা জানে, তারা প্রতিনিয়ত অস্ত্র সরবরাহ করছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ, যারা নিজেরাই একটি গণহত্যা থেকে বেঁচে গেছে, তারা এই (কারাবাখ) গণহত্যার জন্যও দায়ী।
২৭ সেপ্টেম্বর বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়। পরবর্তীতে গত শুক্রবার রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়। এতে উভয় পক্ষ মানবিক কারণে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি বিনিময় ও মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়।
গত শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে।
কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
ইউএইচ/
Leave a reply