চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্র ও ভারতীয় পণ্যসহ পুলিশের এএসআই গ্রেফতার

|

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে পুলিশের এক এএসআইসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ১০ রাউন্ড গুলি ও ভারত থেকে পাঁচার করে নিয়ে আসা ৫৯ কেজি শীসা উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘড়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।
এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে দুই জনকে আসামি করে রোববার বিকালে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আটককৃত পুলিশের ওই এএসআইয়ের নাম হুমায়ন কবির। তার পুলিশ নং ১৯০। তিনি চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তার সহযোগী জহিরুল ইসলাম ধন্যঘরা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদস্যসহ দুই জনকে অস্ত্র-গুলি ও শীসাসহ আটকের তথ্য ও ছবি দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ই-মেইল বার্তা প্রেরণ করা হয়। ই-মেইল বার্তায় জানানো হয়- বিজিবির ফুলবাড়ি বিওপির একটি টহল দল শনিবার রাতে ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে টহল দিচ্ছিলো। এ সময় গোপন সংবাদে ভিত্তিতে টহল দলটি দামুড়হুদা উপজেলার ধন্যঘড়া গ্রামের কাঠালতলা নামকস্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে একটি ইজিবাইক তল্লাশি করে গাড়িতে থাকা কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই হুমায়ন কবির ও তার সহযোগী জহিরুলকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ম্যাগজিন ভর্তি ১০ রাউন্ড গুলি ও ৫৯ কেজি শীসা জব্দ করে বিজিবি।

রোববার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর দুপুরে বিজিবির ফুলবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে দুই জনকে অভিযুক্ত করে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ বিকালে কঠোর গোপনীয়তায় গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সীমান্তে দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই শনিবার রাতে ওই দুই জনকে আটক করা হয়। মামলায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন প্লিজ আমাকে আর কোন প্রশ্ন করবেন না। এজাহার দেখুন তাতে সব লেখা আছে।

তবে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহব্বুর রহমান জানান, গোটা ঘটনাটি একটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আটককৃত পুলিশ সদস্য হুমায়নের কাছ থেকে যে অস্ত্রটি উদ্ধার দেখানো হয়েছে সেটি সরকারি অস্ত্র বলে তিনি দাবি করেন। একই সাথে মামলায় বিজিবির পক্ষ থেকে অস্ত্রের অভিযোগ আনা হয়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে পুলিশের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও পুলিশ ইমেজ নষ্টের কারণে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মামলা দিয়ে ইতিমধ্যে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply