‘ডায়েবেটিস স্টোরে’ মিলছে হাতের মুঠোয় অনলাইন ফার্মেসি সেবা

|

আধুনিক প্রযুক্তির কল্যানে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে সকল সেবা। প্রযুক্তি এতটাই উন্নত হয়েছে যে চাইলেই সকল সুবিধা মিলছে অতি সহজে। কাজ-কর্ম, কেনা-কাটাসহ প্রয়োজনীয় সকল কাজ করে নেয়া যাচ্ছে অনলাইনেই। সহজ কথায় আপনার কোন কিছু প্রয়োজন- একই ক্লিকেই আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে যাবে আপনার কাছে।

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় প্রায় সকল জিনিস ঘরে বসে পাওয়া গেলেও মানুষের অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ সেভাবে ঘরে বসে পাওয়া যাচ্ছেনা। ওষুধের জন্য বেশিরভাগ সময়ই নির্ভর করতে হচ্ছে ফার্মেসিগুলোর উপর। তাই ফার্মেসি বন্ধ থাকলে প্রয়োজনীয় ওষুধ পেতেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। আবার অনেক সময় পাওয়া যায়না কাঙ্খিত ওষুধ টি, ঘুরতে হয় অনেক দোকান।

এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে যোগ হয়েছে নতুন বিপত্তি। ঘরের বাইরে বের হতে গেলেই মাথায় রাখতে হয় স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি। তাই ঘরের বাইরে গিয়ে ওষুধ সংগ্রহের বিষয়টিও বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই অনলাইনে অন্যান্য পণ্যের মতো ওষুধ সরবহার করাও অতি জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠিক এই বিষয়টিকেই বাস্তবায়িত করতে কাজ করে যাচ্ছে ‘ডায়াবেটিস স্টোর’।

‘ডায়াবেটিস স্টোর’ হচ্ছে অলাইনে ওষুধ কেনার প্লাটফর্ম। এখান থেকে ক্রেতারা তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে যেকোন ওষুধ বাছাই করে অর্ডার করতে পারেন। যার ফলে বেঁচে যায় ক্রেতার মূল্যবান কিছু সময় এবং নিশ্চিন্তে ঘরে বসেই পাওয়া যায় ওষুধটি।

এছাড়াও ‘ডায়াবেটিস স্টোর’ নিয়মিত বিভিন্ন অভিজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে করোনাকালে নানাবিধ রোগে কি করনীয় তা নিয়ে লাইভ আলোচনা করে। এতে করে একজন রোগী সহজেই তার রোগ মুক্তিতে কি করতে হবে তা বুঝতে পারেন। প্রয়োজনে রোগীরা লাইভে যুক্ত হয়ে পরামর্শও নিতে পারেন ডাক্তারদের কাছ থেকে।

কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন শিপন এর সাথে। কোন চিন্তা ভাবনা থেকে অনলাইন মেডিসিন শপ ‘ডায়াবেটিস স্টোর’ এর সূচনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো সেভাবে অনলাইনে মেডিসিন সার্ভিস চালু হয়নি। তাই মানুষ কষ্ট করে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছে। ফার্মেসি খোলা না পেলে ওষুধ ও পাওয়া যাচ্ছে না যার ফলে রোগীরা পড়ছেন জীবন সংশয়ে।

তিনি বলেন, রোগীদের মূল্যবান সময় বাঁচাতে এবং যেকোন সময় রোগীর চাহিদামত ওধুধের প্রয়োজন মেটাতেই ‘ডায়াবেটিস স্টোর’ এর সূচনা।

অনলাইনে ওষুধ বিক্রির এ নতুন পদ্ধতিকে গ্রাহকরা কিভাবে নিচ্ছেন বা গ্রাহকদের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির হেড অফ অপারেশন সবুজ সরদার জানান, অবশ্যই অনেক ভাল সাড়া পাচ্ছি, কারণ ডায়েবেটিস স্টোর থেকে সঠিক মূল্যে সকল ধরনের মেডিসিন পাচ্ছেন গ্রহকরা, বাইরে দোকানে যেমন ঔষধের দাম নিয়ে নানা ধরনের নৈরাজ্য রয়েছে সেদিক থেকে সঠিক দামে আমাদের থেকে মেডিসিন কিনতে পারছেন তারা। পাশাপাশি আমাদের ওয়েবসাইট এবং এপ্স এর মাধ্যমে দাম যাচাই করার সুযোগ রয়েছে যা দোকান থেকে করার সুযোগ থাকে না।

সবুজ সরদার বলেন, গ্রাহকরা সব থেকে বড় যে সুবিধাটি আমাদের থেকে পাচ্ছেন তা হল আমরা কোন ধরনের সাব স্টান্ডার্ড মেডিসিন/ভেজাল মেডিসিন সরবরাহ করি না। কারণ আমরা সরাসরি ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানীর থেকে মেডিসিন এনে সরবরাহ করছি। এর ফলে সকল গ্রাহক আমাদের ওপর আস্থা রাখছেন এবং নিয়মিত আমাদের থেকে সেবা নিচ্ছেন

সরকারের অনুমোদন নিয়ে ২০১৭ থেকে যাত্রা এই অনলাইন ফার্মেসির। সকল প্রতিকূল পরিস্থিতিকে পেছনে ফেলে গ্রাহকদেরকে এই করোনাকালীন সময়েও সেবা দিয়ে যাচ্ছে ‘ডায়াবেটিস স্টোর’।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply