চারমাস পর কবর থেকে মুদি দোকানির মরদেহ উত্তোলন

|

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে ময়নাতদন্তের জন্য প্রায় চার মাসের মাথায় কবর থেকে মুদি দোকানি মো. রিপনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চর আল হাসান গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে সকাল থেকে কবরস্থানের পাশে উৎসুক জনতার ভীড় দেখা যায়।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৬ জুন মুদি দোকানি রিপনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ দাফন করা হয়। এদিকে রিপনকে হত্যার অভিযোগে ২ মাস ১৭ দিন পর ২৩ আগস্ট লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মৃত রিপনের বোন নাজমা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।

এজাহার সূত্র জানা যায়, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে ঘটনার দিন রিপনকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চাচা শাহ আলম মোল্লা, কামরুল মোল্লা, সাবিনা, কদবানু ও হারুন মাঝির নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়। রিপনের মৃত্যুর পর দোকান থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি ঘটনার পর অভিযুক্তরা ঘর থেকে বের হয়ে যেতে সাক্ষীরা দেখতে পায়। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মামলা না করতে অভিযুক্তরা মৃত রিপনের বোনদের হুমকি ধমকি দেয়।

মামলার বাদী নাজমা আক্তার বলেন, জমি ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এনিয়ে মামলা করতে চাইলে অভিযুক্তরা আমাদেরকে হুমকি ধমকি দেয়। এ কারণে প্রথমে মামলা করতে পারিনি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে ন্যায় বিচারের দাবি জানান তিনি।

ইউপি সদস্য দুলাল উদ্দিন বলেন, স্বজনদের অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া রিপনের মরদেহ দাফনের জন্য থানায় আবেদন করেছি। এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিলো না।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোতাহের হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ফের দাফন করা হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply