৮০০ কোটি ডলার দান করে স্বেচ্ছায় ‘গরিব’ হলেন বিলিওনেয়ার!

|

নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে অর্জিত ৮০০ কোটি ডলার দান করে স্বেচ্ছায় গরিব হলেন মার্কিন এক বিলিওনেয়ার। তার নাম চার্লস চাক ফিনে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

খবরে বলা হয়, নিজের অর্জিত সম্পদ দান করাই ছিল তার স্বপ্ন। কয়েকশো কোটি টাকার মালিক হলেও নিজের সম্পত্তির শ্রীবৃদ্ধিই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল না তার। বাঁচার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনের অতিরিক্ত উপার্জিত অর্থ দান করেই জীবনকে সার্থক করতে চেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন মার্কিন বিলিওনেয়ার চাক ফিনে।

আনন্দবাজার জানায়, কলেজের সহপাঠী রবার্ট ওয়ারেল মিলানের সঙ্গে তিনি খোলেন ডিউটি ফ্রি শপ। বিমানবন্দরে রিটেল দোকানের এই চেন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে ফিনের ব্যবসা। মার্কিন কোটিপতিদের তালিকাতেও ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল, জীবদ্দশাতেই জীবনের সব রোজগার দান করবেন তিনি। এ কথা বেশ কিছু বছর আগেই জানিয়েছিলেন ফিনে। সম্প্রতি ফিনের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। নিজের ৮০০ কোটি ডলার বিশ্বের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে দান করেছেন তিনি। দানের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণ করে স্বেচ্ছায় ‘গরিব’ হয়েছেন তিনি। স্বপ্ন পূরণের পর নিজের খুশিও গোপন করেননি তিনি।

ফোর্বস পত্রিকাকে এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘টাকার ব্যবহার অন্যরকমভাবে করতে চেয়েছিলাম। এই কাজ আমায় তৃপ্তি দিয়েছে। স্বপ্ন পূরণ করতে পারায় আমি খুব খুশি।’

কোটিপতি হওয়ার পর থেকেই গোপনে বিভিন্ন সংস্থাকে দান করতেন তিনি। কিন্তু সেই খবর প্রকাশ্যে আনতেন না। এ জন্য তাকে ‘জেমস বন্ড অব ফিলানথ্রপি’ বলেও ডাকা হত। ২০১২ সালে ফিনে ঘোষণা করেন, তিনি ও তার স্ত্রীর অবসর জীবনের জন্য ২০ লক্ষ ডলার রেখে দেবেন। বাকি সব সম্পত্তি দান করবেন। ১৪ সেপ্টেম্বর জুমে সম্পত্তি দানের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন তিনি। নিজের ৮০০ কোটি ডলার সম্পত্তির মধ্যে ৩৭০ কোটি ডলারই শিক্ষা খাতে খরচের জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়েছেন। এছাড়াও মানবাধিকার, সামাজিক পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য খাতে তার দানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য। তার এই মনোভাবে রীতিমতো আপ্লুত বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেটের মতো মার্কিন কোটিপতিরাও।

তবে শুধু দান নয়, ৮৯ বছরের ফিনে জীবনযাত্রার মানও ছিলো খুবই সাধারণ। সান ফ্রান্সিসকোর একটি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন তিনি। নিজের গাড়িও নেই। এক জোড়া জুতোতেই বছর কেটে যায় তার। ‘সম্পদ দায়িত্ব আনে’— এই চিন্তা থেকেই নিজের সম্পত্তি দান করে সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply