১৯ বছর পর অ্যাড. হাবিবুর রহমান হত্যার বিচারের দাবিতে মাঠে আ.লীগ

|

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাষ্ট্র পক্ষের কৌসূলী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনির মুন্সির হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন।

রোববার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দেসহ জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এর আগে আলোচিত হাবিবুর রহমান হত্যা মামলার দীর্ঘ ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচারের দাবিতে মাঠে দেখা যায়নি জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। বিচার প্রার্থী পরিবারের পাশে ছিল না জেলার আইনজীবীরাও। বরং তারা নিয়েছিল আসামিদের পক্ষ। বিচার পাওয়ার আশায় দীর্ঘদিন একাই লড়েছেন হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ও মামলার বাদি জিন্নাত হাবিব। তিনিও চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে।

দেড় যুগেরও বেশি সময় বিচার পায়নি ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারটি। বিচারের জন্য সোচ্চার ছিল না জেলা আওয়ামী লীগও। টানা ১২ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা সত্বেও বিচারকাজ না পেয়ে হতাশ আওয়ামী পরিবারভুক্ত নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তবে সব সময়ই খোঁজ নিয়েছেন দলের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিহত হাবিবুর রহমানের ছেলে পারভেজ রহমান জন বলেন, আমার বাবা আওয়ামী লীগের জন্যই সারাজীবন কাজ করেছেন। জীবনও দিলেন দলের জন্য। কিন্তু ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার পাইনি। হত্যাকারিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মা বিচার না পেয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। ওই সব হত্যাকারিদের বিচার না দেখে আল্লাহ যেন আমাদের মৃত্যু না দেয়।

বিচারের দাবিতে মাঠে দেখা যায়নি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আ’লীগে নেতা কর্মীদের, এমন প্রশ্নের উত্তরে অনেকটাই বিব্রত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার। তিনি বলেন, হত্যাকারিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আগামীতে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। সব ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে সঠিক বিচার দাবিতে মাঠে থাকবো আমরা।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোবারেক আলী সিকদার প্রার্থী ও স্বতন্ত্রী প্রার্থী হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেবের
মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর ওই সব কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাই ভোটের আগে ৫ তারিখ হাবিবুর রহমানের শহরের
বাস ভবনে আওয়ামী লীগের সভা চলছিল। ওই সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গর সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা মনির মুন্সিকে হত্যা করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply