হোয়াইট হাউজে এক চুক্তিতে ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল আমিরাত ও বাহরাইন

|

ইসরায়েলের সাথে দুই আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকের ঘোষণা এসেছে আগেই। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে সম্পন্ন হলো চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা। ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান ছাড়াই পশ্চিমাদের তৈরি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন।

ঐতিহাসিক এ চুক্তিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ভোর’ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শিগগিরই আরও আরব দেশ শান্তিচুক্তির পথ অনুসরণ করবে বলে আশাবাদ তার। অধিকার উপেক্ষা করে চুক্তির প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে ফিলিস্তিনে।

আলাদা দুই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টিকে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন ভোর বলে আখ্যা দেন তিনি। আশাবাদ জানান, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আজ বিশ্ব দেখলো, তারা সংঘাতের বদলে সহযোগিতা, শত্রুতার বদলে বন্ধুতাকে বেছে নিয়েছে। দারিদ্রের বদলে উন্নয়ন আর হতাশার বদলে প্রত্যাশাকে বেছে নিয়েছে। এমন একটি ভবিষ্যতকে গ্রহণ করেছে যেখানে আরব, ইসরায়েল, মুসলিম, ইহুদি, খ্রিস্টান সবাই পাশাপাশি- মিলেমিশে-শান্তিতে থাকবে।

দুই আরব দেশের স্বীকৃতি আদায়ের পর উচ্ছাস চাপা রাখেননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। আর চুক্তির মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা, বাইরাইন-আমিরাতের।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হাজার বছর ধরে ইহুদিরা শান্তির প্রত্যাশা করছে, শান্তির জন্য প্রার্থনা করছে। আর সেজন্যই আজ অনন্য পরিতৃপ্তির একটি দিন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেন, আজ মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্রে সত্যিকারের এক পরিবর্তনের সাক্ষী আমরা। এমন একটি পরিবর্তন যা বিশ্বকে প্রত্যাশার বার্তা দেবে।

বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল জায়ানি বলেন, আজকের চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এবার আমাদের কাজ করতে হবে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে।

যখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে তৃপ্তির ঢেকুড় তুলছেন আরব নেতারা, তখন চুক্তির বিরোধিতায়, হোয়াইট হাউজের বাইরেই বিক্ষোভে অংশ নেয় ৪০টি সংগঠন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি জানায় তারা।

আরবদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে, বিক্ষোভে উত্তাল গাজা, পশ্চিম তীরও। বিক্ষোভ হয়েছে খোদ বাহরাইনেও।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের পিঠে ছুরি বসানো হলো। আমাদের অধিকার উপেক্ষা করে ইসরায়েলকে দখলদারিত্ব চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হলো।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানকে কোণঠাসা করতেই মূলত ইসরায়েলের সাথে জোট গড়ছে আরব দেশগুলো। উপেক্ষিত হচ্ছে ফিলিস্তিনের মুক্তির সংগ্রাম।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply