শরীয়াহ’র ভিত্তিতে মানবাধিকার এবং আফগানিস্তানের উন্নয়ন নিশ্চিত হবে: তালেবান

|

বির্তর্কিত বিভিন্ন ইস্যুর সমাধান হলেই স্থিতিশীলতা ফিরবে আফগানিস্তানে। দোহায় আফগান-তালেবান বৈঠককে ঘিরে এমনই মন্তব্য পশ্চিমা কূটনীতিকদের। বহুল প্রতিক্ষিত আলোচনাকে ঘিরে আশাবাদও জানিয়েছেন তারা। আলোচনায়, ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্য জানিয়েছে আফগান সরকার।

অন্যদিকে, তালেবানের প্রস্তাব শরীয়াহ আইনের ভিত্তিতে মানবাধিকার এবং আফগানিস্তানের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

আফগান পিস কাউন্সিলের প্রধান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা চাই যেখানে নারী-পুরুষের ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। এর পাশাপাশি আফগানিস্তানের নিজস্ব সংস্কৃতিকে মর্যাদা দেয়া হবে।

তালেবান প্রতিনিধি মোল্লা বরদার আখন্দ বলেন, আমাদের লক্ষ্য সার্বভৌম আফগানিস্তান যেখানে কোনো বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ নেই। আর শাসন ব্যবস্থায় ইসলামি শরিয়াহ আইনের কোনো বিকল্প নেই।

পশ্চিমা কূটনীতিকরা বলছেন, ইতিবাচকভাবে বৈঠক শুরু হওয়ায়, দোহা আলোচনা নিয়ে আশাবাদী তারাও।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, আফগানিস্তানে চিরস্থায়ী স্থিতিশীলতা এবং শান্তি ফেরাতে সবপক্ষকেই ছাড় দেয়ার কোনো বিকল্প নেই। কারণ কোনোভাবেই দেশটিতে আর রক্তপাত কাম্য নয়।

আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি জালমে খালিজাদ বলেন, তালেবান বন্দীদের মুক্তি নিয়ে ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়ার মতো কিছু দেশের আপত্তি রয়েছে। এমন বেশকিছু বিতর্কিত বিষয় রয়েছে। যত সহজে এবং ইতিবাচকভাবে বহুল আকাংখিত এই বৈঠক শুরু হয়েছে, তাতে আমি আশাবাদী এসব সংকটের সমাধান দ্রুতই হবে।

এরআগে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছায় সশস্ত্র এ গোষ্ঠী। চুক্তি অনুযায়ী, সেনাপ্রত্যাহার ও কারাবন্দী তালেবান সদস্যদের মুক্তি মিললে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয় তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply