বিয়ের আসর থেকে আ’লীগ নেতার মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা ছাত্রলীগ নেতার

|

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

পিরোজপুর শহরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়ির বিয়ের আসর থেকে কনেকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।

আজ শনিবার এ অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান কনের বাবা পিরোজপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।

গত শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুর শহরের শিক্ষা অফিস সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এরপরপরই বিয়ে ভণ্ডুল হয়ে যায়। এ খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।

আওয়ামী লীগের পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি ও কনের পিতা দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে জানান, শুক্রবার আছর নামাজ বাদ নিজ বাসভবনে এ বিয়ের আক্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকেলে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা বরপক্ষ কনের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আসেন। আকদ অনুষ্ঠান শুরুর আগেই পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের বাড়িতে ঢুকে অনুষ্ঠান থেকে তার মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

তিনি জানান, এ সময় মেয়ে ফারহানা আক্তার আইভিকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং পিস্তল বের করে ভয় দেখায়। তখন উপস্থিত আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা বাধা দিলে তার মেয়েকে অপহরণ করতে না পেরে বরপক্ষকে নানা হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর গ্রাম থেকে আসা বরপক্ষের লোকজন ভয়ে বিয়ে বন্ধ করে তাদের বাড়িতে চলে যান।

এ সময় অনিরুজ্জামান অনিক তার সাথে থাকা আব্দুল আলীম ও শাওনকে নিয়ে কনের পিতাকে হুমকি দিয়ে বলে, তার মেয়েকে জনৈক আবুল কালামের ছেলে আব্দুল আলীম ছাড়া অন্য কারও সাথে বিয়ে দেয়া যাবে না। যদি বিয়ে দেয়া হয় বাসর ঘরে মেয়ের স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করবে এবং মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক মেয়ে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি তার এক বন্ধুর জন্য পারিবারিকভাবে বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুস সোবাহান জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ আওয়ামী লীগের পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি ও কনের পিতা দেলোয়ার হোসেন থানায় দিয়ে গেছেন। তবে এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ থানায় আসলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply