আখাউড়ায় ফার্মেসিতে র‌্যাবের অভিযানে নেশার ট্যাবলেটসহ আটক ৩

|

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দুই ওষুধের ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে বিক্রি নিষিদ্ধ (ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট) নেশা জাতীয় ওষুধ মজুদ ও বিক্রির দায়ে ফার্মেসির মালিকসহ তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলো, পৌরশহরের সড়ক বাজারের দরদী ফার্মেসির মালিক আজিজ মোল্লা ও তার কর্মচারী জুটন দাস এবং সরকার ফার্মেসির কর্মচারী সালমান। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের জওয়ানরা এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

জানা গেছে, আখাউড়া পৌরশহরের দরদী ও সরকার ফার্মেসিতে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট মজুদ ও বিক্রয় হয় এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং এএসপি মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইনের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় তারা ওই দুটি ফার্মেসি থেকে উদ্ধার করা ওষুধের মধ্যে নেশাজাতীয় ১২০৪ পিস (ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট) নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নিষিদ্ধ ওষুধ মজুদ ও বিক্রির দায়ে মালিকসহ ওই ৩ জনকে আটক করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট দেখতে কিছুটা ইয়াবার মতো। কিন্তু ইয়াবা ট্যাবলেট নয়, এটা ব্যথানাশক ওষুধ। এই ট্যাবলেটই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ইয়াবা আর হেরোইনের বিকল্প নেশা হিসেবে। গুঁড়ো করে ইয়াবা আর হেরোইনের মতো সেবন করছে মাদকসেবীরা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ট্যাপেন্টাডল নামের বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ওষুধের দোকানে।

র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, স্বল্প আয়ের মানুষেরা ইয়াবার বদলে ব্যথানাশক এই ওষুধ মাদক হিসেবে এখন ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply