গাজায় সহিংসতা-আগ্রাসন বন্ধে সম্মত হলো হামাস-ইসরায়েল

|

মহামারি পরিস্থিতিতেও থেমে নেই ইসরায়েলি আগ্রাসন। ৬ আগস্ট থেকে প্রতিদিনই গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অভিযোগ- হামাসের চোরাগোপ্তা হামলার জবাবেই এ পদক্ষেপ। দুই পক্ষের উত্তেজনা যাতে বড় সংঘাতে রূপ না নেয়, সে লক্ষ্যে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেয় কাতার ও মিসর। সোমবার রাতে, পাল্টাপাল্টি সহিসংতা বন্ধ রাখতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস।

যার ধারাবাহিকতায়, অবরূদ্ধ গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহে বাধা দিবে না ইসরায়েল। এদিকে, দুবাই-তেলআবিবের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু নতুন মাত্রার কূটনৈতিক সাফল্য। এমনটাই আখ্যা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।

হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার বলেন, সমঝোতা অনুসারে সীমান্তে বিস্ফোরক-বোঝাই বেলুন ছাড়া ও অন্যান্য সব হামলা থেকে বিরত থাকবে হামাস। এর বিনিময়ে আমাদের জেলেরা ভূমধ্যসাগরে মাছ ধরতে পারবেন। এছাড়া, উপত্যকায় জ্বালানি তেল প্রবেশের সুযোগ দেবে ইসরায়েল। চালু হবে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

ইসরায়েলের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমঝোতার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। গাজায় হামলা স্থগিত রাখার সমঝোতার দিনে দেশটি বেশি ব্যস্ত ছিলো আরব আমিরাতের সাথে সম্পর্ক উদযাপনে। প্রথমবারের মতো তেলআবিব থেকে সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট পৌঁছায় দুবাই। যাতে ছিলেন ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তির মধ্যস্থতাকারী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা জারেড কুশনার বলেন, ফ্লাইটটি চলাচলের জন্য সৌদি আরব নিজ আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে, অনন্য নজির স্থাপন করলো। এরমাধ্যমে, ভাঙ্গলো বহু বছরের তিক্ত সম্পর্কের দেয়াল। আশা করছি, খুব শিগগিরই শুরু হবে আমিরাত-ইসরায়েলি দূতাবাস স্থাপনের কাজও।

অবশ্য ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনকে স্পষ্ট বেঈমানি আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিন।

ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেন, আমিরাতের ভূখণ্ডে কোন ইসরায়েলি বিমানের অবতরণ- সত্যিই ভীষণ কষ্টকর। যেখানে, বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি অঞ্চল দখলদারিত্বের কবলে। সেসময়, আরব-ইসরায়েলি সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ সমঝোতা পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।

গেলো মাসে, প্রথম পারস্য উপসাগরীয় দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সমঝোতায় পৌঁছায় সংযুক্ত আরব আমিরাত।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply