সুশান্তের মোবাইলেই লুকিয়ে রয়েছে মৃত্যু-রহস্য!

|

বলিউডের উদীয়মান অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিদিনই উঠে আসছে নিত্য নতুন খবর। এরই মাঝে নতুন করে উঠে এসেছে বেশকিছু তথ্য। যা থেকে প্রশ্ন উঠতেই পারে, সুশান্তের মৃত্যু রহস্য আসলে কি ফোনেই লুকিয়ে রয়েছে? খবর জি এইটিনের।

খবরে বলা হয়, মুম্বাই পুলিশ সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দিন জানায়, সুশান্তের ফোন থেকে দুটি নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হয়। এই দুটি ফোন নম্বর হল মহেশ শেঠি ও রিয়া চক্রবর্তীর।
মুম্বাই পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, ১৩ জুন রাতে সুশান্তের ফোনে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। এই দুটি তথ্যের ভিত্তিতেই উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।

সাধারণত যে কেউ সমস্যায় পড়লে কাছের জনকেই ফোন করেন। প্রশ্ন উঠছে ঠিক কী এমন ঘটেছিল যে কারণে রিয়া ও মহেশ শেঠিকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন সুশান্ত? ১৩ জুন রাতে সুশান্তের ফোনে যে অজানা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল তার কারণেই কি সুশান্ত অস্থির হয়ে উঠেছিলেন? সেটা কার ফোন ছিল? সেই তথ্য কি মুম্বাই পুলিশ সুশান্তের কল রেকর্ড থেকে জেনেছে?

ইতোমধ্যেই কী সেই তথ্য সিবিআই-এর হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে? যদি তুলে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে হয়তোবা সিবিআই সঠিক সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনার জন্য। একটু ভেবে দেখলেই দেখা যাবে এই প্রশ্নগুলো এখনো রয়েই গেছে।

অন্যদিকে সুশান্তের বাবা পাটনা একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। তাতে কে কে সিং রাজপুত বলেছিলেন, বলিউডে সুশান্ত কিছুটা একঘরে হয়ে ব্যবসায় মন দিতে চেয়েছিলেন। যার মধ্যে কুর্গে গিয়ে তিনি অরগানিক চাষাবাদ করতে চেয়েছিলেন। পাশাপাশি, রিয়া ও শৌভিকের সঙ্গে সুশান্ত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে একটি কোম্পানি খুলেছিলেন। রিয়াকে ভালোবেসে যার নাম দিয়েছিলেন ‘রিয়ালিটি’। রিয়ার কথায় ‘রিয়ালিটি’তে সুশান্ত-রিয়া-শৌভিক তিনজনেই ৩৩ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে ভাইয়ের টাকাও তিনিই দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন রিয়া। আরও একটি কোম্পানি সুশান্তের ছিল, যাতে নামমাত্র (১ শতাংশ) শেয়ার ছিল শৌভিক চক্রবর্তীর।

প্রশ্ন উঠছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে এই কোম্পানিতে কী হতো? ইডি-এর তদন্তে উঠে এসেছে এই কোম্পানিতে পরবর্তীকালে কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি। তাদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর কাজ কোডিং-এর মাধ্যমে করতে হয়। যে কোডিং-কে আগামী দিনের ভাষা বলে দাবি করা হয়।

প্রশ্ন উঠছে তবে কী এই কোডিংয়ের মাধ্যমেই সুশান্ত কোনো গোপন তথ্য জেনে গিয়েছিলেন? যেটা সুশান্তের বিপদ বাড়িয়ে তুলেছিল? আর এই সূত্র ধরেই কি ১৩ জুন রাতে সুশান্তের ফোনে অজানা ব্যক্তির ফোন এসেছিল?

সুশান্তের বাবার দাবি, ছেলের সঙ্গে সম্প্রতি তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সুশান্ত বারবার নম্বর বদলাতেন। বলিউডের কোনো প্রথম সারির নায়ক কেন তার নম্বর বারবার বদলে ফেলবেন? নম্বর বারবার বদলালে বিভিন্ন পরিচালক, প্রযোজকদের সঙ্গে সুশান্তের যোগাযোগ করতেও তো সমস্যা হবে। তাহলে তিনি কি কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন? যে তথ্য তিনি পরিবারকেও জানাতে পারছিলেন না? এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুশান্ত মৃত্যুর রহস্য। সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা হোক, কিংবা হত্যা, তার পেছনে কারণ তো অবশ্যই থাকবে। সেটা কী? সুশান্তের ফোন কলের ভেতরেই কি লুকিয়ে আসল রহস্য? উত্তর পেতে আরেকটু অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply