অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সানি লিওন!

|

কলেজের স্নাতক (অনার্স) পর্যায়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে পাওয়া গেলো বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী সানি লিওনের নাম! কলেজটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মেধা তালিকায় ১৫১তম স্থানটি পেয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন এই ইন্দো-কানাডিয়ান অভিনেত্রী।

কলেজের মেরিট লিস্টে ১৫১ নম্বর সিরিয়ালে রয়েছে অভিনেত্রীর নামটি। ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ওই মেধা তালিকায় সানি লিওনের ফরম নম্বর ২০২০৫৬১২৫৩৯। অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর ৬১৩২৭৭২৩। তার রোল নম্বর – ২০৭৭৭৭-৬৬৬৬।

শুক্রবার বজ বজ কলেজ নামে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমনটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ইন্ডিয়াটিভি নিউজ।

তবে কি এই বলিউড অভিনেত্রী ইংরেজিতে অনার্স করবেন? খবরটি ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে হইচইয়ে মেতে ওঠেন নেটিজেনরা। সমালোচনার ঝড়ও বয়ে যায়। অনেকে অবশ্য বিষয়টিকে ভুয়া জানিয়ে এ নিয়ে রসিকতায় মজেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার আশুতোষ কলেজের ইংরেজির মেধা তালিকায় নাম উঠেছিল সানি লিওনের। যা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন নেটিজেনরা। এরইমধ্যে বিষয়টি নজরে পড়েছে সানি লিওনেরও।

তিনি টুইটে রসিকতা করেন, কলেজের পরবর্তী সেমিস্টারে তোমাদের সবার সঙ্গে দেখা হবে ঠিক আছে? আশা করি, ক্লাসে সবাই উপস্থিত থাকবে। অভিনেত্রীর এমন টুইট সমালোচনার হালে আরও পানি জমা করে।

এই দুই কলেজের অনার্সে ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকায় সানি লিওনের নাম সংযুক্তির বিষয়ে অনুসন্ধান করেছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন কোনো ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি এবং ফরমও তোলেননি। তবে কি করে বজ বজ কলেজের সেই তালিকায় তার নাম এলো?

এর কারণ হিসাবে জানা গেছে, বিনামূল্যে ভর্তি ফরম বিতরণ করেছিল বজ বজ কলেজ। আর সেই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী। সানি লিওনের নামে ফরম পূরণ জমা দিয়েছিল তারা। শুধু ইংরেজিই নয়, একাধিক বিষয়ে এমন ভুয়া নাম দিয়ে পূরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বজ বজ কলেজের ছাত্রসংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তমাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটে যার ওপর মেধা তালিকা তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিলেন এটি সম্ভবত তারই ভুল।

এদিকে, আশুতোষ কলেজ কর্তৃপক্ষ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছে, কেউ বা কারা দুষ্টুমি করে এমন কাজ করেছে। অনলাইন ফর্ম ফিল আপের সময় কারও নাম যাচাই করা হয়নি। পুরোটাই সিস্টেম জেনারেটেড। ইতোমধ্যে অ্যাডমিশন ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি সংশোধনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ কাজটি যারা করেছে অনুসন্ধান করে তাদের খুঁজে বের করা হবে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply