করোনাভাইরাস: আশার আলো দেখাচ্ছে পাঁচ ভ্যাকসিন

|

বিশ্বে করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই। প্রতিদিনই কয়েক লাখ মানুষ নতুন করে যুক্ত হচ্ছেন আক্রান্তের তালিকায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি কার্যকর ভ্যাকসিন আসার আগ পর্যন্ত ভাইরাসের এ যাত্রা থামানো যাবে না। বিশ্বের প্রায় ১৭০টির মতো কোম্পানি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচটি ভ্যাকসিনের অগ্রগতি বেশ ভালো। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশা জাগাচ্ছে এসব ভ্যাকসিন।

এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে মিলে এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ভারতের বিখ্যাত সিরাম ইন্সটিটিউটও এই ভ্যাকসিনের উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছরের ডিসেম্বরেই এই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে। এর মূল্য হতে পারে ৪ ডলারের কম।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মডার্নার ভ্যাকসিন। মার্কিন ওষুধ কোম্পানি মডার্নাও করোনাভাইরাসের কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরিতে এগিয়ে আছে। এর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরেই এর ট্রায়াল শেষ হতে পারে। এ বছরের শেষ নাগাদ এটি উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর দাম হতে পারে বাংলাদেশি ২ হাজার টাকার মতো।

এরপরই রয়েছে চীনের কোম্পানি সিনোফার্ম। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এ বছরের শেষ দিকেই ভ্যাকসিন বাজারে আনতে যাচ্ছে তারা। সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলছে। এটি বাজারে এলে এর দাম হতে পারে ১২ হাজার টাকার কাছাকাছি।

ভ্যাকসিন দৌড়ে এগিয়ে চীনের আরেক কোম্পানি ক্যানসিনো। ক্যানসিনোর ভ্যাকসিন এরইমধ্যে পেটেন্ট পেয়ে গেছে। বেইজিংয়ের ইন্সটিটিউট অব বায়োটেকনোলজির সঙ্গে মিলে কোম্পানিটি তার করোনার ভ্যাকসিন ডেভেলপ করছে। এটিও এ বছরের শেষেই বাজারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এর দাম সম্পর্কে এখনও কোনো ধারণা দেয়া হয়নি।

এ তালিকার সর্বশেষ হচ্ছে বহু আলোচিত রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক। রাশিয়া এই ভ্যাকসিনকে বিশ্বের প্রথম করোনার বিরুদ্ধে কার্যকরী ভ্যাকসিন হিসেবে দাবি করেছে। ১১ আগস্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেন, এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি তার দুই মেয়েকেও এই ভ্যাকসিন দিয়েছেন বলে দাবি করেন। তবে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। কারণ এর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা এখনও সম্পন্ন হয়নি। ফলে এটি পুরোপুরি নিরাপদ ও কার্যকরী কিনা তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক রয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply