স্বামী ঝুলে ছিলেন ফ্যানে, স্ত্রীর লাশ মেঝেতে

|

রাজধানীর নাখালপাড়ায় বেসরকারি একটি উন্নয়ন সংস্থার অফিস থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, নাখালপাড়ায় ভাড়া থাকতেন আসমত ও ফারজানা দম্পতি। তিন বছর ধরে বাসা লাগোয়া উন্নয়ন সংস্থা আশার অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন ফারজানা। ছুটির দিনে অফিসেই থাকতেন তিনি। তার স্বামী স্থানীয় মাছ ব্যাবসায়ী। শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ওই অফিস থেকে ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আসমতকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় এবং ফারজানাকে মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। ফারজানার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।

ছেলে জানায়, গতকাল বিকেলে তাদের (স্বামী-স্ত্রীর) মধ্যে ঝগড়া হয়েছিলো। সেটা মিটিয়ে দিয়ে চলে যায় সে। পরে রাতে তার বড় ভাই খাওয়ার জন্য আসে, কিন্তু তখন কারও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পাশেই ভাড়া বাসায় ফিরে যায়। সকালে এসে পেছনের জানালা দিয়ে মাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে এবং বাবাকে ফ্যানের সাথে ঝুলে থাকতে দেখে।

স্থানীয়রা জানায়, আগেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে এসেছে সিআইডি ক্রাইম সিন।

তেজগাঁও জোনের এডিসি রুবাইয়াৎ জামান, সপ্তাহখানেক ধরে তাদের পারিবারিক কলহ বেড়ে যায়, সেটা সুরাহা করতে গতকাল স্বামী এখানে আসে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ফারজানাকে মাথার পেছনে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে, পরে স্বামী আত্নহত্যা করেছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply