প্রতারণার দায়ে ‘সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেট’র অফিস সিলগালা

|

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রতারণার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে গড়ে তোলা পাঁচ জেলার সব জমির মালিকানা দাবি করা সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেট নামের একটি অফিস সিলগালা ও তার সাইনবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বেশ কিছুদিন ধরে সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের নামে সাইনবোর্ড টানালে নজরে আসে এলাকাবাসীর। একপর্যায়ে মুখে মুখে জন প্রতিনিধির মাধ্যম হয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছায় বিষয়টি।

এঘটনায় বুধবার বিকেলে শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার পাঁচ রাস্তা মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এস্টেটের অফিস সিলগালাসহ সাইনবোর্ড অপসারণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যমুনা টিভিকে জানান, মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের পিসি বারুই খালী গ্রামের বাসিন্দা আ. সামাদ হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের উত্তরাধীকারী (মালিক) দাবি করে আসছেন।

এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তিকে সুন্দরবন, উপকূলীয় অঞ্চলের জমি দলিল করে দেওয়ার কথা বলে বোকা বানিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতানো শুরু করেন। এই সংবাদ তার কাছে গেলে বুধবার বিকেলে তিনি তার অফিস সিলগালা করেছেন।

তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লিখিতভাবে শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। এখানে কোন জমিদারী প্রথা নাই। দেশের সকল জমির মালিক সরকার। উপজেলার সাধারণ জনগণকে এই প্রতারকের হাত থেকে বাঁচাতে ইতোমধ্যে মাইকিং করা হয়েছে। সকলকে অবৈধ সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেট সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথিত সুন্দরবন লর্ড প্রজাস্বত্ব এস্টেটের মালিক দাবিকারী আ. সামাদ হাওলাদার জানান, জমিদারী আমলের কাগজপত্র ও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এ অঞ্চলসহ পাঁচটি জেলার জমির মালিক আমি। এখানে কারও বসবাস করতে হলে আমার কাছ থেকে নতুন করে জমির লিজ নিতে হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply