প্লাজমা থেরাপিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প!

|

কোভিড নাইনটিন চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্লাজমা থেরাপির যুগান্তকারী সাফল্যের কথা বললেও প্রশ্ন তুলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তাদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্লাজমা থেরাপির সাফল্যকে অতিরঞ্জিত করছেন প্রেসিডেন্ট। প্লাজমা থেরাপিকে অসম্পূর্ণ ও পরীক্ষামূলক আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এফডিএ পরীক্ষিত ‘প্লাজমা থেরাপি’ কোভিড নাইনটিন চিকিৎসায় এনে দিয়েছে যুগান্তকারী সাফল্য। প্রায় ৩৫ ভাগ মৃত্যুহার কমানো যাবে, এ পদ্ধতিতে। তাই, স্বেচ্ছায় প্লাজমা ডোনেট করার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্লাজমা থেরাপি নিয়ে এমন উচ্ছাসে নিজ দেশেই তীব্র সমালোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পূর্ণাঙ্গ গবেষণা ছাড়াই প্লাজমা থেরাপির অনুমোদনের এ সিদ্ধান্তকে তামাশা আখ্যা দিয়েছেন, অনেক বিশেষজ্ঞ।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক জশুয়া শার্ফস্টেইন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা স্টাইলে তিনি যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা মোটেই সত্য নয়। এটা মোটেও পরীক্ষিত চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। মৃত্যুহার ৩৫ শতাংশ কমানো যাবে, এ দাবিও সত্য নয়। বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয় নিয়ে যেভাবে সিদ্ধান্ত দেয়া হচ্ছে, তা রাজনৈতিক তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।

করোনার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকলেও অনেক দেশেই পরীক্ষামূলকভাবে দেয়া হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। এ সপ্তাহে, আনুষ্ঠানিকভাবে এ থেরাপির অনুমোদন দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লাজমা থেরাপির বিস্তারিত না জানিয়ে কেবল অনুমোদন দেয়া দুর্বল রাজনৈতিক এজেন্ডা। ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরুর আগে আরও গবেষণার পরামর্শ তাদের।

জশুয়া শার্ফস্টেইন বলেন, এটি এফডিএ’র অনুমোদন নয়, বরং ট্রাম্পের নিজস্ব মতামত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে মনগড়া মতামতের কোন সুযোগ নেই। উল্টো ট্রাম্প এফডিএ’র সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেটিও আবার পরিচালকের সামনেই। যা সংস্থাটির জন্য বিব্রতকর ব্যাপার।

করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপি চলতে পারে বলে মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। তবে, এ পদ্ধতিকে এখনও অসম্পূর্ণ ও পরীক্ষামূলক বলে অভিহিত করেছে তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply