নিখোঁজের পর ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ! প্রেমিকের সাথে পালিয়ে ছিল জানালো কিশোরী নিজেই

|

নারায়ণগঞ্জের পিসিআর ল্যাবে করােনা পরীক্ষা বন্ধ

অবশেষে বের হলো এক কিশোরীর অন্তর্ধান রহস্য। এতদিন পুলিশের বরাতেই জানা যাচ্ছিল, ধর্ষণের পর খুন হয়েছে সেই কিশোরী। এমনকি ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে তিনজন।

কিন্তু মাসখানেক পর সেই কিশোরী মাকে ফোন করলে বেরিয়ে আসে প্রকৃত কাহিনী। জানা যায়, এতদিন কথিত প্রেমিকের সাথে ছিল ওই কিশোরী। মেয়েটি ফিরে আসায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের তদন্ত আর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে।

ঘটনাটি তদন্তে পুলিশ একটি কমিটি গঠন করেছে। বাড়ি থেকে হঠাৎ লাপাত্তা হয় নারায়ণগঞ্জ শহরের পাক্কা রোডের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী এক কিশোরী। সেটা ৪ জুলাইয়ের ঘটনা। প্রায় মাসখানেক বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে মেয়েকে না পেয়ে বাবা-মা মামলা করেন থানায়। সে মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে আবদুল্লাহ, রকিব ও খলিল নামে তিনজনকে।

পুলিশের ভাষ্য, শীতলক্ষ্যা নদীতে বেড়াতে নিয়ে তারা ধর্ষণ করে কিশোরীকে। পরে হত্যার করে মরদেহ ফেলে দেয় নদীতে। ১৬৪ ধারায় এমন জবানবন্দীর পর তাদের পাঠানো হয় জেলহাজতে। কিন্তু সম্প্রতি কিশোরীর মায়ের মোবাইলে একজন ফোন দিয়ে নিজেকে তার কন্যা পরিচয় দেয়। পরে সেই ফোন কলের সূত্র ধরে জানা যায়, ধর্ষণ-হত্যা সব খবর কেবলই গল্প। পাওয়া যায় ওই কিশোরী ও তার প্রেমিককে। পরিবারের লোকজন বলছেন, মেয়ে ফিরে আসায় এখন তারা মামলা তুলে নেবেন।

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আবদুল্লাহ’র মায়ের দাবি, মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তার ছেলেকে মারধর করে জবানবন্দি নেয়া হয়।

তিনজনের জবানবন্দি বা হত্যার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ খোলাখুলি কথা বলছে না। পুলিশের তালিকায় যে কিশোরী ধর্ষণের পর খুন হয়েছে, তার ফিরে আসার ঘটনায় বিব্রত তারা।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলার তদন্তভার ছিল এসআই শামীমের হাতে। তদন্তে কোনো গাফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে গুরুত্বের সাথে।

ইউএইস/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply