উপকূলের আশিক এলজি বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর মনোনীত

|

দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এলজি ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর- ২০২০ মনোনীত হয়েছেন ইনিশিয়েটিভ ফর কোস্টাল ডেভেলপমেন্টের (আইসিডি) প্রতিষ্ঠাতা আশিকুজ্জামান।

গতকাল রাজধানীর গুলশানে এলজি বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেন এলজি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডি কে সন।

আশিকের বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে সুন্দরবন তীরবর্তী উপকূল এলাকার মানুষের উন্নয়নে নিজেকে মনোনিবেশ করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন ইনিশিয়েটিভ ফর কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট। তার প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবীমূলক সংগঠন আইসিডি ব্যতিক্রমধর্মী সামাজিক কার্যক্রমের জন্য ব্যাপক প্রশংসিত। বিশেষ করে কয়রা উপজেলার বাঘ বিধবা ও আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে আইসিডি।

বাঘ বিধবাদের টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আইসিডির অনন্য উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের শিশুদের শিক্ষাসহায়তার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা, মুন্ডা নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উপকূলের কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ক্যাম্পেইন, স্যানেটারি ন্যাপকিন বিতরণ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও বিভিন্ন দুর্যোগে জরুরি খাদ্য সহায়তা ইত্যাদি আইসিডি’র উল্লেখযোগ্য চলমান কর্মসূচি। কোভিড-১৯ ও ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সময়ে আইসিডি উপকূলের পানিবন্দী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন সহায়তা করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

এলজি অ্যাম্বাসেডর প্রসঙ্গে আশিকুজ্জামান বলেন, ‘এটি আমার উপর একটি অর্পিত দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। শৈশব থেকে আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের সাথে বেড়ে ওঠা। এই বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রতি আমি দায়বদ্ধতা অনুভব করি। ছোটকাল থেকে তাদের জন্য কাজ করছি। এখন বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ এসেছে। এলজি বাংলাদেশ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আদিবাসী মুন্ডা নারীদের মধ্যে অনেকেই এখন জীবিকার জন্য সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু তাদের অধিকাংশের নিজস্ব নৌকা নেই। নদীতে নেমে মাছ, কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। নদীতে কীটপতঙ্গের আক্রমণের ঝুঁকি থাকে। অনেকক্ষণ পানিতে ভিজে অসুস্থ হবার আশংকা থাকে। এ বিষয়টি আমাকে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে। এলজি বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় এমন ৩০ জন বনজীবী মুন্ডা নারীকে নৌকা প্রদান করা হবে। সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

এলজি অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে আরও উপস্থিত ছিলেন, এলজি বাংলাদেশের কর্পোরেট ব্রান্ডিং হেড মাহমুদুল হাসান, ট্রাই ডিজিটাল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল ইসলাম খান ও K2K Wears International এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসরাত জাহান।

ইউএইস/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply