এক মাসেই করোনার শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম চীনা ভ্যাকসিন!

|

প্রয়োগের এক মাসের মধ্যেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন। দাবি চীনা বায়োটেক প্রতিষ্ঠানটির।

চীন বলছে, ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলে চাহিদা-যোগানের ভিত্তিতে নয়, বরং উৎপাদন খরচের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে ভ্যাকসিনের দাম। বণ্টনের বেলায় জনসংখ্যা ও সংক্রমণ হারকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে দেশটি।

চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান ইয়াং জিয়াওমিং বলেন, আরব আমিরাতে সর্বপ্রথম আমাদের ভ্যাকসিন গ্রহন করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এতেই বোঝা যায়, তারা আমাদের ভ্যাকসিনকে কতটা ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছে। বিদেশে তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল পুরোদমে চলছে। কার্যকারিতার দিকেও লক্ষ্য রাখছি। আমরা খুবই আশাবাদী।

সিনোভ্যাক বায়োটেক লি. এর চেয়ারম্যান ও সিইও ইন ওয়েইডং বলেন, আমরা ভাইরাসের ২০টি ধরন নিয়ে কাজ করেছি। সবগুলোর বিরুদ্ধেই কার্যকারিতা দেখিয়েছে আমাদের ভ্যাকসিন। তাই আমরা আশাবাদী, এই ভ্যাকসিন পুরো বিশ্বের ক্ষেত্রেই সুরক্ষায় কাজ করবে। এই মুহূর্তে বছরে ৩শ’ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে আমাদের।

এরমধ্যেই, সংযুক্ত আরব আমিরাত আর বাহরাইনের পর মরক্কো এবং পেরুতেও ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে সিনোভ্যাক। এরই মধ্যে দেশের বাইরে প্রায় ২০ হাজার মানুষের ওপর টিকা প্রয়োগ করেছে চীনা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিটি। দাবি, মাসখানেকের মধ্যেই ৯৭ থেকে ৯৮ ভাগের শরীরে তৈরি হয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply