ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর প্রস্তাব খারিজ জাতিসংঘে, ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র

|

আবারও উত্তপ্ত ইরান-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্ক। তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাব খারিজ হয় জাতিসংঘে। বিশ্লেষকদের মত, পরমাণু চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করায়; অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্তে মিত্রদের পাশে পাবে না যুক্তরাষ্ট্র।

চলতি বছরের অক্টোবরে শেষ হচ্ছে ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। কড়াকড়ির মেয়াদ বাড়াতে জাতিসংঘে প্রস্তাব দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান ইস্যুতে জাতিসংঘে প্রস্তাব বাতিলের পর চীন এবং রাশিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরমানু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়া, নাখোশ জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন। তাহলে ইরান ইস্যুতে কি যুক্তরাষ্ট্র একা হয়ে পড়ছে, উঠেছে এমন প্রশ্নও।

তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডলইস্ট স্টাডিজের অধ্যাপক হাসান আহামাদিয়ান বলেন, ইরানোর ওপর নতুন করে কড়াকড়ি আরোপে আগ্রহী নয় কেউই। কারণ পরমাণু ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আইনের সবকিছুই মেনেছে ইরান। এক্ষেত্রে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র কড়াকড়ি আরোপ করলেও তাতে সমর্থন দেয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না অন্য দেশগুলোর তরফ থেকে। তাই এটা স্পষ্ট যে ইরান ইস্যুতে একা হয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৫ সালে হওয়া ইরান ছয়জাতি চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, এরফলে সুপার পাওয়ারগুলো নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তিতে আগ্রহী হবে না।

লন্ডনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হোলি ড্যাগরেস বলেন, একবার চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে মিত্রদেশগুলোর তা বদলানো সহজ নয়। বিশেষ করে ট্রাম্প যদি আবারও নির্বাচিত হন তাহলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত আসা সম্ভব না। ফলে খুব সহজেই ইরান সংকটের সমাধান হবে না।

এরইমধ্যে ইরানের ঘোষণা, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেই বিশ্বজুড়ে আবারও অস্ত্র রফতানি শুরু করবে দেশটি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply