গুলশানের ৩ বিউটি পার্লারে ভ্যাট গোয়েন্দাদের অভিযান

|

ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে রাজধানীর গুলশান এলাকার তিনটি বিউটি পার্লারে অভিযান চালিয়েছে। এতে ৩ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।

ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক নাজমুননাহার কায়সার ও ফেরদৌসী মাহবুবের নেতৃত্বে গতকাল ১৬ আগস্ট এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ১. দ্যা জাভেদ হাবীব বিউটি পার্লার, বাড়ি: ৬/বি, রোড: ৪৪, গুলশান ২; ২. জাহিদ খান ব্রাইডাল মেকওভার ও ব্রাইডাল স্টুডিও, বাড়ি: ৩৭, রোড: ১, নিকেতন, গুলশান ১; ৩. এ্যারোমা থাই স্পা, বাড়ি: ৬/বি, রোড: ৪৪, গুলশান ২।

এদের মধ্যে জাভেদ হাবীব উক্ত বাড়ির ভবনের দুটি ফ্লোর মাসিক ৮ লক্ষ টাকা ভাড়া নিলেও তারা ভ্যাট দেন মাত্র ৫০ হাজার টাকার উপর। বাকি ভাড়ার তথ্য গোপন করা হয়েছে। অন্যদিকে যথাযথ ভ্যাট চালান ইস্যু না করে ক্রেতাদের নিকট পার্লারের বিভিন্ন ধরনের সেবা বিক্রয় করেন। অন্যদিকে মাসিক রিটার্নে তার প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করেছেন। ভ্যাট গোয়েন্দার দল প্রতিষ্ঠান থেকে জব্দ করা কাগজপত্র যাচাই করে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১.৬০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেখতে পেয়েছেন।

দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানটি মূলত বিলাসবহুল ব্রাইডাল পার্লার। ভেতরে ব্রাইডাল পোশাক ও নানা ধরনের গহনা বিক্রি করে থাকে। ভ্যাট গোয়েন্দার দল তাদের ভ্যাট রিটার্ন যাচাই করে দেখতে পান তাদের প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করা হয়েছে। তারা যথাযথভাবে ভ্যাট চালান ইস্যু করে না। তারা পুরানো ও বাতিল নিবন্ধন দিয়ে এখনো কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনুসন্ধানে এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ভ্যাট ফাঁকি পাওয়া যায়।

অন্যটি এ্যারোমা থাই স্পা। এখানে একইভাবে পুরানো ও বাতিল নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ভ্যাট গোয়েন্দার দল অভিযানকালে দেখতে পান ভ্যাটের হিসাবপত্র সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়নি।ভ্যাটের দলিল ও বাণিজ্যিক কাগজপত্রে ব্যাপক গরমিল দেখতে পাওয়া যায়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া যায়।

ভ্যাট আইন অনুসারে এই তিনটি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করেনি। তের ডিজিটের ভ্যাট নিবন্ধন সনদ প্রাঙ্গণে ঝুলিয়ে রাখার বিধান থাকলেও তা পরিপালন করেনি।

এই তিনটি পার্লারের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইন লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ইউএইস/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply