বিলীনের পথে সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের নামে প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও

|

চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের স্মৃতি বিজড়িত রংপুরের গঙ্গাচড়ার লক্ষিটারীর শংকরদহ ওয়ার্ডটি তিস্তার গর্ভে বিলীন হওয়ার পর এবার বিলীনের পথে ৩ নং পশ্চিম ইচলি ওয়ার্ড।

ইতোমধ্যেই ওয়ার্ডটির অর্ধেক চলে গেছে তিস্তার গর্ভে। সব হারিয়ে মানুষজন এখন পোশাক কারখানামুখী। ভাঙ্গন ধরেছে শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কেও। আবারও পানি বৃদ্ধি পেলে যেকোন মুহুর্তে বিচ্ছিন্ন হযে যেতে পারে রংপুর-লালমনিরহাটের সড়ক যোগাযোগ।

বিলীন হওয়া ১ নং শংকরদহ ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল মোন্নাফসহ সেই চরম অভিজ্ঞতার কথা জানালেন স্থানীয়রা। আব্দুল মোন্নাফ জানান, ঈদের আগে তার ওয়ার্ডটি পুরোপুরি তিস্তার গর্ভে চলে যাওয়ায় পাশের ৩ নং ওয়ার্ড পশ্চিম ইচলিতে বাড়িঘর এনে কোনমতে ঠাঁই নিয়েছিলেন। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে সেই বাড়িটিও ভাঙ্গনের মুখে।

এদিকে গত ৫ দিনের ব্যবধানে মেম্বার মোন্নাফের মতো পশ্চিম ইচলি ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ পরিবার হারিয়েছে বাড়িঘর। অন্যরাও আছেন ভাঙ্গন আতঙ্কে। অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন কাটছে তাদের। যেকোন মুহুর্তে তিস্তা গিলে খাবে চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও।

ভিটে মাটি জমি হারিয়ে এখন পেশাবদল করে রাজধানীমুখী এই এলাকার মানুষ। তবে করোনা পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানায় গিয়েও কাজের সুযোগ হবে কিনা সে নিয়েও আছে শঙ্কা।

লক্ষিটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদি ও এলাকাবাসী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো’র) অবহেলায় তিস্তার গতিপথ পুরোনো পথে পরিবর্তিত হওয়ায় এই ভাঙ্গন। যা আঘাত হেনেছে শেখ হাসিনা তিস্তা সড়ক সেতুর সংযোগ সড়কেও।

আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ‘ফিজিবিলিটি স্টাডির মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানে নিতে হবে পরিকল্পনা।’ সেইসাথে শেখ হাসিনা তিস্তা সড়ক সেতু থেকে হুমায়ুন চেয়ারম্যানের বাঁধ পর্যন্ত পিচিং ও বোল্ডারের বাঁধ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply