আবুধাবি-তেলআবিব সমঝোতার নিন্দায় মুসলিম বিশ্ব, সবদিকে লাভবান ইসরায়েল

|

আবুধাবি-তেলআবিব সমঝোতার নিন্দায় মুখর মুসলিম বিশ্ব। চুক্তির প্রতিবাদে ইরান-পাকিস্তান-জর্দানে পালিত হচ্ছে বিক্ষোভ কর্মসূচিও। অভিযোগ- শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে ফিলিস্তিনের সাথে বেঈমানি করেছে আরব আমিরাত। যা, মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়াকে করে তুললো আরও ঘোলাটে।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দাবি- দেশের সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখেই আরব অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন তিনি।

বিশ্লেষকদের অভিমত, এটা আরব জোটের ঐক্যে ফাটল ধরানোর কূটকৌশল। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ চুকিএত সবদিক থেকেই লাভবান ইসরায়েল। তাই প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দম্ভোক্তি- ইহুদি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে দেয়া হবে না একবিন্দু ছাড়। আরও দাবি, ইসরায়েলের শান্তি পরিকল্পনায় ভবিষ্যতে যোগ দেবে এই অঞ্চলের বাকি দেশগুলো।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘শান্তি’ সংক্রান্ত যে প্রচলিত ধারণা তা থেকে বেরিয়ে এসেছে আরব বিশ্ব। বর্তমানে, ‘সত্যিকারের শান্তি’…’শান্তির বিনিময়ে শান্তি’ এবং ‘শক্তিমত্তার মাধ্যমে শান্তি’ স্থাপন চলছে। আমিরাতের সাথেও হয়েছে এ ধরনের সমঝোতা। কারণ, কোনভাবেই ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘিত হতে দেয়া যাবে না। একচুল ভূখণ্ডও ছাড়বো না আমরা।

বিশ্লেষকদের অভিমত, সমঝোতা বা শান্তি প্রক্রিয়ার অজুহাতে স্রেফ ফিলিস্তিনিদের আরও কোনঠাসা করলো যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র ইসরায়েল।

জর্দানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওয়ান মওশের বলেন, সমঝোতা কেবল একটা মোহ। ফিলিস্তিনিদের অনুপস্থিতিতে হলো গোটা আলোচনা। এমনকি, অধিকৃত ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন হবে না- এমন কথাও দেয়নি ইসরায়েল। যার আনুষ্ঠানিক বৈধতা দিতেই মধ্যস্থতা করলো যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশিদের সাথে কখনোই সুসম্পর্ক রাখে না ইহুদিরা; সেখানে ফিলিস্তিন তো চিরশত্রু।

জর্দানের আইন প্রণেতা খালেদ রামাদান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদি-মার্কিন নিয়ন্ত্রণের প্রভাব বিস্তারের জন্যেই এ সমঝোতা। মূলতঃ ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার জয় সুনিশ্চিত এবং নেতানিয়াহু’র রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রক্ষার স্বার্থেই কাজ করলো, আবুধাবি। আরবদের ঐক্য এবং জোট-কাঠামো ধ্বংসের জন্যেও এটা পশ্চিমা কূটকৌশল।

এদিকে, সমঝোতা শেষে বেরিয়ে আসছে একের পর সব তথ্য। ইসরায়েলি গোয়েন্দা এবং গণমাধ্যমগুলোর দাবি, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকের লক্ষ্যে একাধিবার গোপনে আরব দেশটি সফর করেন নেতানিয়াহু। প্রস্তাবিত চুক্তিগুলো চূড়ান্তে আগামী সপ্তাহেই আবুধাবিতে বসছেন দু’দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply