ওসি প্রদীপসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা খারিজ

|

টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ২০১৭ সালে এক কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুস সাত্তার নিহতের ঘটনায় ওই সময়ে পুলিশের দায়ের করা মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এই আদেশ দেন।

ভুক্তভোগী আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার গতকাল বুধবার মহেশখালী থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি ফৌজদারি দরখাস্ত করে। আদালত আবেদনটি আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে খারিজ করে দিয়েছে।

একইসাথে এই ঘটনায় চার বছর আগে পুলিশের দায়ের করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সিআইডিকে।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ২০১৭ সালে এক কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুস সাত্তার নিহতের ঘটনায় ওই সময়ে পুলিশের দায়ের করা মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এই আদেশ দেন।

চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি এএসপি মর্যাদার নীচে নয় এমন একজন সিআইডি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্বে নির্দেশ দেন বিচারক।

হামিদা আক্তারের দায়েরকৃত ফৌজদারি দরখাস্তে ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস, তৎকালীন ওসি প্রদীপ ছাড়াও এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এএসআই আজিম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করেন। ভুক্তভোগী আবদুস সাত্তার হোয়ানক পূর্ব মাঝেরপাড়ার মৃত নুরুচ্ছফার পুত্র। বাদী পক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

আবেদনকারী হামিদা আক্তার জানান, গত ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়। তখন এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি। অবশেষে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তারা। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে গণ্য করতে আদেশ দেন বিচারক। সেই আদেশের আলোকে তিনি একই বছরের ১৭ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। কিন্তু পুলিশ আবেদন আমলে নেয়নি বলে জানান হামিদা আক্তার।

ইউএইস/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply