স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেপ্টেম্বরে হতে পারে এইচএসসি পরীক্ষা

|

করোনাভাইরাস পরবর্তী দেশের পাবলিক পরীক্ষা ও শিক্ষা কার্যক্রমের ‘রিকভারি প্ল্যান’ কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ জোরেশোরেই। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত তিন সচিবের বৈঠক থেকে এ নিয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই বৈঠকে চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাব ওঠে। পরে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

আর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যার ভিত্তিতে সারা দেশে কীভাবে এই পরীক্ষা নেয়া যায় সে সমীক্ষা চলছে। শিগগিরই এই পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।

যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা ছিল, শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর ১৫ দিন পর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হবে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করা যাবে তা এখও অনিশ্চিত। এমন বাস্তবতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা আয়োজনের এই চিন্তা করা হচ্ছে। সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার দিন-তারিখ নির্ধারণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির আর অবনতি না ঘটলে সেপ্টেম্বরে পরীক্ষাটি শুরু হতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, এপ্রিলে এই পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল। ইতোমধ্যে অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে। এখন যেহেতু পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হচ্ছে, তাই আমরা সমীক্ষা চালাচ্ছি। সমীক্ষার প্রতিবেদন এবং বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ পর্যালোচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

এবার এইচএসসি পরীক্ষায় প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থীর অংশ নেবার কথা রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বসানো হবে ‘জেড’ আকারে। প্রতিটি কক্ষে প্রথম বেঞ্চে দু’জন, দ্বিতীয় বেঞ্চে মাঝখানে একজন আর তৃতীয় বেঞ্চে দু’জনের আসন ব্যবস্থা করা হবে।

এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব থাকবে। সেই হিসাবে একেকটি উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থীর তুলনায় কয়টি কক্ষ ও কেন্দ্র-উপকেন্দ্র লাগবে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা স্থানীয় শিক্ষকদের নিয়ে সারা দেশে সেই সমীক্ষা চলাচ্ছেন। এ ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে নির্দেশনা সংবলিত চিঠি দেয়া হয়েছে।

এদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। পরিদর্শক ও পরীক্ষার্থীরা ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে ভেতরে প্রবেশ করবেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে।

জেড আকারে শিক্ষার্থী বসানোর কারণে কোন কেন্দ্রে কত পরীক্ষার্থী বসানো হবে, সেই পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় মূল কেন্দ্রের অধীন পার্শ্ববর্তী ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে উপকেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply