গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা, স্বামী পলাতক

|

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে তাজ নাহার বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহত তাজ নাহার ওই গ্রামের নুরু মিয়ার মেয়ে এবং ৪ সন্তানের জননী। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ভোর রাতে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের দেওটি গ্রামের ছবর উল্যাহ হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী আবু তাহের মিয়া (৬৩) পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতের পুত্র বধূ আসমা আক্তার জানান, তার শশুর দু’বার ব্রেইন স্ট্রোক করে। তারপর থেকে তিনি প্রায়ই ছোট ছোট বিষয় নিয়ে সংসারে অশান্তি করত। সোমবার দিবাগত রাতে পরিবারের সদস্যরা সবাই যে যার কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে শশুর-শাশুড়ির কক্ষের দরজা খোলা দেখে গিয়ে দেখেন শাশুড়ির গলা কাটা মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। তখন শশুরকে তার কক্ষে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতের স্বামী আবু তাহের তার শশুরবাড়িতে কিছু জায়গা কিনে বসবাস করে আসছিল। তিনি সড়ক ও জনপদ বিভাগে চাকুরিরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণ করার পর পেনশনের টাকা নিয়ে স্ত্রীর সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। স্ত্রীসহ শশুর বাড়ির লোকজন টাকার জন্য আবু তাহেরকে মারধর করতো। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে কয়েকবার শালিসি বৈঠক বসে। এসব ঘটনার জেরে মঙ্গলবার ভোর রাতে আবু তাহের তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিহতের স্বজনদের ভাষ্যমতে, গৃহবধূ তাজ নাহার বেগমকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় তার স্বামী আবু তাহের মিয়া। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply