ঘুমের ঘোরে বাস চালাচ্ছিলেন চালক, প্রাণ গেলো ৬ জনের

|

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো এক গ্রাম্য চিকিৎসকসহ ৬ দিনমজুরের। শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের সরোজগঞ্জ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত রয়েল পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে মেহেরপুরে যাচ্ছিলো। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনামতে দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চালানো হচ্ছিলো। চালকও তখন ঘুমাচ্ছিলেন।

নিহতরা হলো, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বাসু ভান্ডারদহ গ্রামের নিতাই হাওলাদারের ছেলে ষষ্ঠি (৪০), খাড়াগোদা গ্রামের মাহাতাব উদ্দীনের ছেলে গ্রাম্য চিকিৎসক মিলন আলী (৪০), তিতুদাহ গ্রামের নিয়ত আলির ছেলে রাজু (৩৮), রহিম মল্লিকের ছেলে শরিফ হোসেন (৪৫), নুতা মন্ডলের ছেলে সোহাগ (২৫) ও হায়দার আলির ছেলে কালু।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব হোসেন জানান, দুর্ঘটনার সময় সরোজগঞ্জ বাজারের অদূরে একটি তেল পাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেশ কয়েকটি নসিমন ও আলমসাধু। তার উপরেই বসে ছিলেন ১০/১৫ জন দিনমজুর। এমন সময় চট্রগাম থেকে মেহেরপুরগামী রয়েল পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে দুটি আলমসাধু ও একটি মোটরসাইকেলের ওপর উঠিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুই জন। আহত ৯ জনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মধ্যে রাজু, সোহাগ, শরীফ, ষষ্ঠি ও কালু দিনমজুর। আর গ্রাম্য চিকিৎসক মিলন আলী প্রাতঃভ্রমণে বের হয়েছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, রয়েল পরিবহনের চালক ও বাসটিকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আহত ও নিহতের দেখতে যান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এ সময় তিনি নিহতদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শামীম কবির জানান, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী ও ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply